কুল বা বরই খেলে শরীরে যা ঘটে
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জানুয়ারি ৩১, ২০২২
শীত এলে কূল বা বড়ই এর দেখা মেলে। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফল সবার কাছেই প্রিয়। বিভিন্ন জাতের কুল পাওয়া যায় বাজারে। কোনোটি ছোট আবার কোনোটি বড়। মৌসুমির সব ফলেই থাকে নানা পুষ্টিগুণ। ঠিক একইভাবে কুলের ও আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। জানেন কি অনিদ্রার সমস্যা থেকে সুরু করে পেটের নানা সমস্যার সমাধান করতে কুলের ভূমিকা অনেক।
কুলে থাকে পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও জিংক এর মত খনিজ উপাদান। এসব খনিজের সংমিশ্রণ হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে। এছাড়াও আয়রন হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে। এখন এগুলো শরীরের রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন এ সময় কুল খেলে শরীরে কি ঘটে-
আরো পড়ুনঃ নিয়মিত মেথি খেলে সারবে যেসব কঠিন রোগ
- কুলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। জিহ্বা বা মুখের ঘা কমাতে ভিটামিন-সি খুবই জরুরী। সাধারণ সর্দি-কাশি কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি।
- উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কুল বেশ উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টি খাবারের লোভ মেটাতে খেতে পারে কুল। এছাড়াও ডায়রিয়া অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির সমস্যা ও মেটায় এই ফল।
- কুলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এই ছোট ফল।
- এই ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রিরেডিকেল এর সঙ্গে লড়াই করে ও কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। ফলে চামড়ায় সতেজতা বারে ও রুক্ষতা দূর হয়।
- ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ কুল কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় ও হজমের সমস্যা সমাধান করে। দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায় ভুগলে সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন কুল। এতে পেট ঠান্ডা থাকবে।
- শুকনো কুল ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের একটি ভালো উৎস। যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য এ ফলটি খুবই উপকারী। এতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে যা জয়েন্টে ফোলা ভাব কমায়।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে আপনি একজন ভালো মা এবং বাবা হয়ে উঠবেন ?
- প্রাচীন চীনা ঐতিহ্য অনুসারে অনিদ্রা নিরাময়ে কুল ব্যবহার করা হতো। বীজ সহ একটি করে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইটো কেমিক্যাল, পলিস্যাকারাইড, ফ্ল্যাভোনয়েড, স্যাপোনিন। এসব উপাদান স্নায়ুকে শান্ত করে ঘুম আনতে সাহায্য করে। এটি আপনার মন ও শরীর কে শিথিল করে। ফলে অনিদ্রার রোগীরাও সহজেই ঘুমিয়ে পড়েন।