
সারাহ গিলবার্ট! করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন তৈরীতে অনেকটা এগিয়েছেন!
- ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
- এপ্রিল ২৮, ২০২০
সারাহ গিলবার্ট। এই নামেই মোটামুটি সারাবিশ্ব তাকে চেনে। ১৯৬২ সালে তার জন্ম। সেই হিসেবে তার বয়স এখন ৫৮ বছর। কিন্তু এর মধ্যেই তিনি সারা পৃথিবীতে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর তিনি। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন এর সাথে তার নাম জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে । ২০২০ সালে তিনি ঘোষণা দেন ফান্ড পেলে তিনি করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন তৈরি করতে পারবেন।
হাইস্কুলে পড়ার সময়েই তার মেডিসিনের উপর ভালবাসা জন্মায়। ব্যাচেলর ডিগ্রী শেষ করে তিনি হাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন এবং ইস্ট বা ছত্রাক নিয়ে কাজ করে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
সারাহ গিলবার্ট অক্সফোর্ডে যোগ দেন ২০০৪ সালে। এরপর তিনি জেনার ইন্সটিটিউট এ প্রফেসর পদে যোগদান করেন ২০১০ সালে। ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাক্সিন প্রতিবছর দিতে হয়। তিনি গবেষণা শুরু করেন একবার দিলেই যাতে কাজ হয় এই বিষয়ে । ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে। এসব ভাইরাস আবার পরিবর্তিতও হয়। ফলে বছর বছর নতুন ভ্যাক্সিন আসে। সারাহ চেয়েছিলেন এমন একটা ভ্যাক্সিন হবে যেটা দিলে একেবারে ঝামেলা চুকে যাবে। ২০২০ পর্যন্ত তিনি সহ গবেষক দল এই ব্যাপারে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পুরোপুরি সফল হতে পারেনি। তবে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে এসব বিষয়ে ।
করোনা ভাইরাসের এই মহামারির সময়েও তিনি এগিয়ে এসেছেন। ভ্যাক্সিন আবিষ্কার এবং উৎপাদন জটিল ব্যাপার। অনেক ধাপ পেরিয়ে তারপর উদ্ভাবন হয়। কিন্তু অতি অল্প সময়েই তিনি এবং তার দল এই ব্যাপারে সফলতা দেখিয়েছেন। তার প্রতি সেই দেশ সহ সারা পৃথিবীর আস্থা আছে। আশা করা যায় অচিরেই আমরা পরীক্ষার ফলাফল পাব। সফল হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
করোনা ভাইরাস মানব জাতিকে বড় এক ধাক্কা দিয়েছে। একদিন হয়তোবা অনেক ধ্বংসযজ্ঞের পর এই ভাইরাস চলে যাবে। কিন্তু থেকে যাবে সারাহ গিলবার্ট এর নাম। আশা করা যায় তিনি সফল হবেন। আর যদি সফল নাও হন তার পরেও তার চেষ্টার প্রতি মানবজাতি সম্মান জানাবে।