মোবাইল ফোনের ইতিহাস জানেন? না জানলে পড়ুন বিস্তারিত 

  • ইয়াসিন প্রধান সাজিদ 
  • জুন ১৩, ২০২০

মোবাইল ফোন! বর্তমান সময়ের আতঙ্ক ও বলা যায় আবার আশির্বাদ ও। অনেকে এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে সবদিক থেকে আবার অনেকেই এর মাধ্যমেই যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে।

যার যার ধরনের ব্যবহার,
পেয়ে যায় উচিৎ উপহার।

মোবাইল ফোন, সেলুলার ফোন, হ্যান্ড ফোন বা মুঠোফোন এরকম একাধিক নামকরন রয়েছে এই তারবিহীন টেলিফোন বিশেষ যন্ত্রের। মোবাইল অর্থ ভ্রাম্যমান বা "স্থানান্তরযোগ্য"। যন্ত্রটিকে সহজেই যেকোনও স্থানে বহন করা যায় আর ব্যবহার করা যায় বলে মোবাইল ফোন নামকরণ করা হয়েছিল। মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ডঃ মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেল ছিল প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবক। ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে একটি প্রায় ১ কেজি ওজনের হাতে ধরা ফোনের উদ্ভাবন করেন আর তার মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন।

১৯৮৩ সালে প্রথম মোবাইল ফোনের বাণিজ্যিক সংস্করণ করা হয়। বাজারে আসা সেই ফোনটির নাম ছিল মোটোরোলা ডায়না টিএসি ৮০০০এক্স। একটি ঐতিহাসিক কাল ছিল ইতিহাসের পাতায় ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সাল। এর মধ্যে ঘটেছিল এক বিপ্লব, পৃথিবীব্যাপী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২.৪ মিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬ বিলিয়নের বেশি হয়ে গিয়েছল। আর এখন তো পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭% মোবাইল ফোন যোগাযোগের আওতায় এসেছে।

এখন মোবাইল ফোনই স্মার্ট ফোন হিসেবে আধুনিকতার ছোয়া লাগিয়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কথা বলার পাশাপাশি এ ধরনের ফোনগুলো এখন অন্যান্য বিষয়েও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সামান্য কিছু বলতে গেলে,ই-মেইল, এসএমএস বা ক্ষুদেবার্তা, প্রেরণ ও গ্রহণ,ক্যালকুলেটর, মুদ্রা, সঙ্কেত বিষয়ক কার্যাবলী,ইন্টারনেট,গেমস খেলা,ছবি ও ভিডিও তোলা,ঘড়ির সময় দেখা,কথা রেকর্ড করা,ট্রেনের টিকিট বুকিং করা,বিদ্যুৎ/গ্যাস বিল দেয়া ইত্যাদি।টাকার আদানপ্রদান করা।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বললে মোবাইল ফোন প্রথম চালু হয় ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে। প্রথমে হাচিসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড ঢাকা শহরে AMPS মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন সেবা শুরু করে। ধীরে ধীরে সময়ের পরিবর্তনে বর্তমানে এখন বাংলাদেশে মোট ৬টি মোবাইল ফোন কোম্পানী রয়েছে। এদের মধ্যে ৫টি জিএসএম এবং একটি সিডিএমএ প্রযুক্তির মোবাইল সেবা দিচ্ছে। তার মধ্যে সব জিএসএম মোবাইল কোম্পানি ২০১৩ সাল থেকে তৃতীয় প্রজন্মের ৩জি সেবা দেওয়া শুরু করেছে। বাংলার সকল মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে টেলিটক হচ্ছে দেশীয় কোম্পানি। বর্তমানে সবাই জানি যে রবি ও এয়ারটেল একত্রে হয়ে রবি হবার কাজ করছে। আমাদের দেশে মোবাইল নম্বর গুলো ০১ দিয়ে শুরু। কান্ট্রি কোড সহ নম্বর হয় এরকম +৮৮০১********* । কান্ট্রি কোড ব্যতীত মোট ১১ ডিজিটের নম্বর ব্যবস্থা চালু এখন।

আসলে এই মোবাইল ফোন আমরা যেভাবে ব্যবহার করবো সেভাবেই সেবা গ্রহন করতে পারবো। এটি সমাজের ধ্বংসের মূল হবে নাকি ডিজিটাল পৃথিবীতে এক ধাপ এগিয়ে থাকার শক্তি হবে সেটি আমাদের ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। তাই চলুন মোবাইল ফোনের সদ্ব্যবহার করি, প্রযুক্তির দোষ না দিয়ে নিজেদের সংশোধন করি।

তথ্যঃ গুগল
লিখাঃ সাজিদ

Leave a Comment