৩৭তম বিসিএস জীবনের প্রথম বিসিএস, সফল প্রথমবারেই!
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- নভেম্বর ২৭, ২০২০
৩৭তম বিসিএস ছিলো তার জীবনের প্রথম বিসিএস। জ্যোতি বলেন, তার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তার মা-বাবা আর বিয়ের পর তার শ্বশুর। মা-বাবা সব সময় বলতেন, সার্থক মানুষ হও। প্রস্তুতির শুরুতে হতাশ হয়ে পরেছিলেন। এতো এতো পড়া এতো কম সময়ে সম্ভব! তারপর কিছুদিন বিরতি দিয়ে চিন্তা শুরু করলেন কোন বিষয় সবচেয়ে ভালো পারেন তিনি। বিজ্ঞানের ছাত্রী হওয়ায় বিজ্ঞান আর গণিত ছিলো তার প্লাস পয়েন্ট। এই দুই বিষয়ে এমনভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন যেনো কোনো নম্বর কাটা না যায়। ছোট ছোট টার্গেট নিয়ে পড়তেন। যেটুকু পড়তেন সেটা নিজেই পরীক্ষা দিতেন।
আরো পড়ুনঃ শিশুদের রিকেটস রোগের উপসর্গ
ঘড়ি দেখে সময় ধরে প্রচুর মডেল টেস্ট দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই খুব দুরন্ত ছিলেন জ্যোতি। স্কুলজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি বিতর্ক, বক্তৃতা, আবৃত্তি রচনা প্রতিযোগিতাসহ, বিভিন্ন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রমে তার সরব উপস্থিতি ছিলো। পঞ্চম শ্রেণিতে সাধারণ বৃত্তি, অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি, মাধ্যমিকে গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে ঢাকা রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে এ প্লাস পান তিনি।
তারপর রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। স্নাতক সম্পন্ন করার পরপর নিজ ডিপার্টমেন্টে শিক্ষকতা করেন বছরখানেক।
আরো পড়ুনঃ সাবধান হোন স্কার্ভি থেকে
জ্যোতি বলেন, জীবনে প্রথম বিসিএস পরীক্ষাতে ২৬তম মেধাক্রম অর্জন করে পছন্দ অনুযায়ী প্রশাসন ক্যাডারে আসতে পারা সত্যি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। তিনি আরো বলেন, জীবনে স্বপ্ন দেখলে আর সেই স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশায় নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করলে সে স্বপ্ন পূরণ হয়ে যায়! জ্যোতি আমাদের সকলের জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম।