প্রথম বাঙালি নারী হিসাবে হিজাব পড়ে ট্যাক্সি চালাচ্ছেন শেলী!
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- মার্চ ২, ২০২১
নর্দাস্পটন শায়ারের করবির বাঙালি নারী শেলী উল্লাহ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। প্রথম বাঙালি নারী যিনি হিজাব পড়ে ট্যাক্সি চালানোর চ্যালেঞ্জিং পেশায় কাজ করছেন। বিবিসি সহ বৃটেনের মূল ধারার মিডিয়াগুলো তার এই বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করেছে। কিভাবে এলেন কেন এলেন? শেলী উল্লাহ'র সহজ-সরল জবাব, আমি চিন্তা করলাম কোন কাজ করতে হবে।
মনে হলো ট্যাক্সি চালালে ঘরেও সময় দেওয়া যাবে। তারপর ড্রাইভিং পরীক্ষা দিলাম। ২য় বারেই পাশ করে ফেলি। তারপর থেকে চার বছর ধরে কাজ করছি।
ফজরের নামাজ পড়ে কাজ শুরু করেন শেলী। তারপর কিছু সময় কাজ করার পর ঘরে এসে বাচ্চাদেরকে স্কুলে দিয়ে এসে আবার কাজ শুরু করেন। শেলী বললেন, অন্যান্য কাজ থেকে আমার মনে হয় ট্যাক্সি চালানো ভালো। বাজার করে এসে ঘরে রান্নাবান্না করতে পারি। সময় মত নামাজ পড়তে পারি। তাই আমার কাছে মনে হয় একাজ সবচেয়ে ভালো। চার মেয়ে এক ছেলে সহ পাঁচ সন্তানের জননী শেলী তার স্বামী সন্তানসহ থাকেন করবির একলিবেল এলাকায়।
আরো পড়ুনঃ অন্যের মন খারাপে আপনার মমতার হাত বাড়িয়ে দিন
শেলীর বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ঘোসগাঁও। পুরো করবি কাউন্সিলের মোট ৪ জন নারীর মধ্যে একমাত্র তিনি মুসলিম মহিলা। যিনি ট্যাক্সির পেশায় জড়িত। শেলীর স্বামী হারুন রশিদ ও তার মতো ব্যাক ট্যাক্সি চালান। শেলী বললেন, আমি দিনের বেলায় আর আমার হাজব্যান্ড রাতে ট্যাক্সি চালান। হিজাব পড়ে ট্যাক্সি চালাতে গিয়ে কোনো বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়নি বলে জানান শেলী।
তবে যোগ করলেন, কেউ কেউ ট্যাক্সিতে উঠে বলে তুমি হিজাব পর কেনো? আমি তাদেরকে বোঝাই এটা আমাদের মুসলিম ধর্মের পোশাক, তাই পড়ি। তারা আর কিছু বলে না। তবে যারা মদ খেয়ে উঠে তারা আমাকে নানা ধরনের গালাগাল করে।
অবশ্য ঠান্ডা মাথায় বুঝালে তারাও বোঝে। ধৈর্য-ত্যাগ-দায়বোধ এবং কাজের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে যেকোনো পেশাতেই বাঙালি নারী সফল হতে পারবেন উল্লেখ করে শেলী বললেন, আমি চাই নারীরা আমার মত এ পেশায় আসুক। কারণ এ পেশা স্বাধীন পেশা। ফ্যামিলিকে সময় দেওয়া যায়।