নারী পুরুষ মিলে অপরাধ করলেও অপরাধী সবসময় নারী কেন হয় ?
- ফারজানা আক্তার।
- আগস্ট ১২, ২০২১
নিয়ন মতিয়ুল। পেশায় সাংবাদিক ও লেখক। ছোট থেকে বড় সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার কলম সচল। সমাজের নানা অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিখছেন। একজন সাংবাদিক হিসেবে চোখে আঙ্গুল দিয়ে যা দেখিয়ে দেওয়া প্রয়োজন সেটাই করছেন। সমসাময়িক নানা বিষয়সহ নৈতিকতার অবক্ষয় নিয়ে তার মুখোমুখি ওমেন্সকর্নার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারজানা আক্তার।
ওমেন্সকর্নার : বর্তমানে আমরা সবাই অনেক কঠিন সময় পার করছি। ভবিষ্যতে এই সময় আরো কত কঠিন হবে বলে আপনি মনে করেন?
নিয়ন মতিয়ুল: কঠিন সময় বলতে আমরা কিন্তু অনেক কিছুকেই বুঝে নিতে পারি। তবে করোনা মহামারি আর তার অভিঘাতে বর্তমানে যে কঠিন সময় পার করছি, তার চেয়েও কঠিন সময় আমাদের সামনে আসতে পারে। আর যদি অন্যদিকে চোখ ফেরান, তাহলে জলবায়ু বিপর্যয়ের বিপরীতে দেশে দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসকদের বিপজ্জনক সব সিদ্ধান্ত গোটা বিশ্বকেই কিন্তু কঠিন এক বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সে কারণেও আমাদের সামনে অন্ধকার। যদিও বরাবরই আমরা আশাবাদী হতে চাই।
ওমেন্সকর্নার : হুট করে মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় অনেক বেশি হয়ে গেলো? নাকি এটা হওয়ারই ছিলো?
নিয়ন মতিয়ুল: বিষয়টা হুট করে নয়; মূল্যবোধ খুবই ধীর গতিতে দানাবাঁধে। সেভাবে কাজও করে। বলতে গেলে, আজকের এই মূল্যবোধের বিষয়টা আপনি বিগত কয়েক দশকের সামাজিক অবক্ষয়ের ফলাফল হিসেবে ধরে নিতে পারেন। তাছাড়া মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের পেছনে সবচেয়ে বেশি কাজ করছে পুঁজিবাদ বা ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। অর্থই যেখানে সব নির্ধারণ করে দিচ্ছে। এমনকি আমাদের মানবিক বা নৈতিক মূল্যবোধও পাল্টে দিচ্ছে এই পুঁজিবাদী মানসিকতা। এটা আসলেই অবধারিত।
আরো পড়ুন : বাঙালি মহিলা কবি কুসুমকুমারী দাশ
ওমেন্সকর্নার : নৈতিকতার এতোটা অধঃপতন কেন হলো?
নিয়ন মতিয়ুল: নৈতিকতার ধারণাটি অনেক জটিল। একেক সমাজ বা জাতিতে নৈতিকতার মানদণ্ড একেক রকম। বিশ্বগ্রামের ধারণার প্রভাবে অন্যান্য নৈতিকতার সঙ্গে মানচিত্রবন্দী বিশেষ কোনো জনগোষ্ঠীর মূল্যবোধের মিথস্ক্রিয়া ঘটছে। যা মিশ্রধারার নৈতিকতা চর্চার পথ বাতলে দিচ্ছে। সে কারণে নৈতিকতার অধঃপতনকে পরিবর্তিত ধারার নৈতিকতা হিসেবে আমরা ধরে নিতে পারি।
যা প্রচলিত মূল্যবোধের সঙ্গে একেবারেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে নৈতিকতার অধঃপতনের পেছনের প্রধান কারণ কিন্তু মানুষের মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়। এটা ঠেকাতে সবার আগে মানুষের মধ্যে মানবিকবোধ জাগ্রত করতে হবে। এজন্য শিক্ষা, জ্ঞান, নৈতিকতা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে পরিবার আর সমাজের যে দায়িত্ব-কর্তব্য, তার চেয়ে বেশি ভূমিকা রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র পরিচালনাকারীরাই নীতিবোধ চর্চার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারে। তবে অনুকূল এই পরিবেশ নিশ্চিত করার কাজটি তেমনভাবে হচ্ছে না বলতে পারেন। সেজন্যই সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখছি আমরা। আর নৈতিক মূল্যবোধের অধঃপতন তো এসবেরই ফলাফল।
ওমেন্সকর্নার : নারী-পুরুষ দুজন মিলে একটি অপরাধ করলো। অথচ আঙ্গুলটা সবসময় নারীর দিকে কেন থাকে?
নিয়ন মতিয়ুল: নারীর দিকে আঙ্গুলটা কে তুললো বলেন? পুরুষরা তো। হ্যাঁ, কিছু ব্যতিক্রম বাদে নারীর যেকোনো তিল পরিমাণ অপরাধকে তাল করে দেখার প্রবণতা পুরুষদের মধ্যে প্রবল। এটা পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই হয়। অতীতে বহু সমাজ নারীকেন্দ্রিক ছিল। পরবর্তীতে সমাজ পরিচালনায় পুরুষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়ে পড়ে। আর এখান থেকে কালের বিবর্তনে তৈরি হয় পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি।
এছাড়া বেশিরভাগ ধর্মে নারীদের ওপর পুরুষদের কর্তৃত্ব বা পুরুষদের শ্রেষ্ঠ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ধর্মের এই বিশ্বাস পুরুষতান্ত্রিকতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে নারীদের ভাবনা আর কর্মের সীমারেখা টানার দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে। নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক সমাজ নির্মাণ কিংবা নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টিও সেখানে উপেক্ষিত হয়ে পড়ে। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, নারীদের মধ্যেও অনেকে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থক। একইভাবে কিছু পুরুষও আছেন, যারা নির্দ্বিধায় যেকোনো ইস্যুতে নারীর পাশেই দাঁড়ান।
আরো পড়ুন : সেরা নারী ফুটবলার মার্টা ভিয়েরা দা সিলভা
ওমেন্সকর্নার : সময় অনেক গড়ালো। সমাজে অনেক পরিবর্তন এলো। কিন্তু নারীর প্রতি পুরুষদের যে দৃষ্টিভঙ্গি সেটা কেন পরিবর্তন হচ্ছে না?
নিয়ন মতিয়ুল: অনেক সমাজে কিন্তু নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির মোটাদাগে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে সে তুলনায় আমাদের সমাজে এ পরিবর্তনটা জোরালো নয়। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সামাজিক বা নৈতিক মূল্যবোধের বিষয়টা আমি আগেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। এখানে বলতে পারি, আমাদের সমাজটা অর্থনৈতিকভাবে যেমনটা এগিয়েছে, সেভাবে সংস্কৃতির পরিবর্তনটা হয়নি। বরং গেল কয়েক দশক ধরেই রাজনৈতিক অবক্ষয়ের পথ ধরে আমাদের সমাজে ধর্মীয় উগ্রবাদ অনেক বেশি ছড়িয়েছে। আগের চেয়ে ধর্মের অন্ধ অনুকরণ বা অনুসরণ প্রবল হয়েছে।
শিক্ষার বিস্তার হয়েছে সত্য, তবে তার আলোটা সেভাবে জ্বলে ওঠেনি সমাজে। পুরুষদের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উত্তরণের পথ সেই অন্ধকারে ঢাকা। অন্যদিকে, যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্ময়কর উন্নতিতে ভোগবাদ দ্রুত গ্রাস করছে সমাজকে। যেখানে নারীরাই বেশি বৈষম্যের শিকার হয়। পুরুষদের আগ্রাসী হয়ে ওঠার সুযোগ যথেষ্ট থাকে।
ওমেন্সকর্নার : বর্তমানের সাহিত্য জগৎ নিয়ে কিছু বলুন।
নিয়ন মতিয়ুল: সাহিত্য নিয়ে বরাবরই আমরা প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করি। তবে আমার মনে হয়, যুগ যুগ ধরেই সাহিত্যের ভূমিকা ছিল নতুন স্বপ্ন জাগিয়ে দেয়, নতুন আদর্শের দিকে মোহ তৈরি করা আর বর্তমানকে হৃদয়গ্রাহী করে তোলা। আমাদের আজকের সাহিত্যে এই বোধ খুঁজে পাচ্ছি না আমরা। বিভোর হয়ে, মশগুল হয়ে পড়ে চোখ বুজে ভাবার মতো সাহিত্য বর্তমানে খুবই কম। বিশ্বসাহিত্যের চমৎকার সৃষ্টিগুলো হয়তো আমরা পাচ্ছি না। তাই আমাদের সমাজভিত্তিক সাহিত্যের জন্য আকুতিটাই বেশি। বলতে কি, ভবিষ্যৎ তো দূরের কথা, সাহিত্য জটিল জীবনধারার বর্তমানকেই তুলে ধরতে পারছে না।
এর পরিবর্তে লাখ লাখ শব্দ আর হাজার বাক্যের ‘চিত্রকল্পহীন’ সমাহারই দেখি। যা অতীতকেই বার বার চোখের সামনে আনছে। বর্তমান কিংবা আগামীকে কখনই খুঁজে পাচ্ছি না। এর পেছনে বিশাল এক কারণ রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, আমাদের এই জীবন ও মহাজগত নিয়ে প্রথাগত চিন্তা, ধ্যান-ধারণা-দর্শন একেবারেই বদলে গেছে গেল শতকে। মহাজাগতিক জীবনের সময় উপযোগী দর্শন আত্মস্থ করা এখনও হয়ে ওঠেনি আমাদের।
বলা যায়, একটা মহাযুগ অতিক্রম করছি। আর যে যুগকে বুঝতেই পারি না, দার্শনিকভিত্তিই দিতে পারি না, তা নিয়ে কীভাবে হৃদয়কে নাড়া দেয়া সাহিত্য রচনা হতে পারে, বলুন?
আরো পড়ুন : মাইক্রোসফটের ইঞ্জিনিয়ার হলেন জিপিএ-৫ না পাওয়া মাহজাবিন চৌধুরী!
ওমেন্সকর্নার : লেখক এবং সাংবাদিকদের সমাজের প্রতি যে দায়িত্ব সেই দায়িত্ব বর্তমানের লেখক এবং সাংবাদিকরা কতটুকু পালন করছেন?
নিয়ন মতিয়ুল: আমি আগেই উল্লেখ করেছি, দেশে দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। তাদের জনতুষ্টিবাদী শাসন পদ্ধতিতে অনেক ক্ষেত্রেই বাকস্বাধীনতা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে করুণভাবে। আমাদের দেশেও বাকস্বাধীনতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সাংবাদিক ও লেখকরা সোচ্চার রয়েছেন। এখানে একটা কথা বলতে হবে, বেশি সংখ্যক গণমাধ্যম মানেই বেশি বাকস্বাধীনতা- এমনটা নয় কিন্তু।
আমাদের গণমাধ্যম বেড়েছে বটে তবে সেই সঙ্গে আত্মনিয়ন্ত্রণও বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে লেখক বা সাংবাদিকদের সত্য লেখার ক্ষমতা আর সাহস সংকুচিত হয়ে পড়েছে। অবশ্য অনেকের মধ্যেই অমূলক জুজুর ভয়ও কাজ করছে। তারাই আবার কর্তৃত্ববাদী শাসনের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। মূলত, তারা যেমন ঝুঁকি নিতে চান না, তেমনি সামাজিক দায়বদ্ধতা ভুলে শাসকদের অনুকূলে থাকার চেষ্টাই করেন বেশি। সার্বিক বিচারে নিজেদের আত্মনিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রাখতে পছন্দ করছেন বেশিরভাগ লেখক ও সাংবাদিক।
ওমেন্সকর্নার : লেখালেখি এবং সাংবাদিকতায় যারা আসতে চায়- তাদের উদেশ্য কিছু পরামর্শ দিন।
নিয়ন মতিয়ুল: ব্যক্তিগতভাবে আমি কাউকে সাংবাদিকতার মতো অনিশ্চিত পেশায় আসতে উৎসাহ দেই না। তবে যারা দুর্দমনীয়ভাবে সব ঝুঁকি বিবেচনায় রেখেই আসতে শপথ নিয়েছেন, তাদের নিজেদেরই জায়গা তৈরি করে নিতে হবে। কেউ তৈরি করে দেবে না। প্রথা ভেঙে, অভ্যন্তরীণ বহুমুখী সমস্যা মোকাবেলা করে, রাজনৈতিক সংকীর্ণতার উর্ধ্বে নতুন ব্যবস্থাপনায় আসতে হবে। বর্তমানে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমের সামনে অনেক সম্ভাবনা। এসব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে।
আর লেখালেখির ক্ষেত্রটাও একইরকম অন্ধকারে ঢেকে গেছে। আগের এক প্রশ্নের উত্তরে বিষয়টা উল্লেখ করেছি। মনে রাখতে হবে প্রতি ২০-২৫ বছরে বিশ্বে জ্ঞান দ্বিগুণ হচ্ছে। তাই যুগপোযুগী সৃজনশীল লেখা লিখতে জ্ঞান বা তথ্যের সঙ্গে আগে লড়াই করতে হবে। তারপর কলম ধরার পালা। লেখক আর সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে চূড়ান্ত কথাটা এটাই যে, জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা কিন্তু সভ্যতার সম্পদ। এই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার যেমন দরকার, তেমনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আরো বেশি জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা সঞ্চিত রেখে যাওয়াই অন্যতম লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন।
আরো পড়ুন : বিশ্বসেরা একজন খেলোয়াড় ওয়েন্ডি রেনার্ড
ওমেন্সকর্নার : যেহেতু ওমেন্সকর্নারে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। ওমেন্সদের উদ্দেশ্য করে কিছু বলুন। আপনার দৃষ্টিতে আমাদের সমাজে নারীদের অগ্রগতি কতদূর? নারীরা তাদের প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, সম্মান এবং মেধার যথাযথ মর্যাদা পাচ্ছে?
নিয়ন মতিয়ুল: বিগত কয়েক দশক ধরেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সর্বশীর্ষ পদে রয়েছেন নারী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সফল নেতাদের একজন। দেশে নারীর ক্ষমতায়ন আশানুরূপ। তাছাড়া সংসদের শীর্ষ পদ ছাড়াও নারীদের আসন বাড়ছেই। পাশাপাশি প্রশাসন কিংবা চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীদের সাফল্য প্রমাণিত। এমন পরিস্থিতিতে নারীদের আশাবাদী হয়ে ওঠার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আগেই বলেছি, সামাজিক আর পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনও নারীর প্রতিকূলেই রয়ে গেছে।
আবার এটাও ঠিক, পরিবারের বাবা-ভাইদের অনুপ্রেরণা আর সহযোগিতাতেই প্রায় ক্ষেত্রে নারীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি হয়েছে। তাই, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, সম্মান আর মেধার যথাযথ স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা আর সোচ্চার থাকতে হবে নারীকেই। এক্ষেত্রে ওমেন্সকর্নারের ওমেন্সদের মধ্যে যে সচেতনতা-সাহসের বিচ্ছুরণ দেখি সেটা নিশ্চিতভাবে আমাদের আরো বেশি আশাবাদী করে তোলে।
ওমেন্সকর্নার : পাল্টা আরেকটি প্রশ্ন। অতীতের তুলনায় বর্তমানে নারীরা যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। তারা এই সুযোগের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারছেন কি?
নিয়ন মতিয়ুল: নারীরা তো ভিনগ্রহের কেউ নন। কিংবা মহাকাব্যের কোনো কাল্পনিক নায়িকাও নন। তারা এই সমাজেই বেড়ে ওঠেন নানা প্রতিকূলতা আর বৈষম্যকে সঙ্গী করে। যেসব প্রতিকূলতা তাদের মূল্যবোধের ওপর বড় রকমের প্রভাব ফেলে। যে কারণে প্রাপ্ত সুযোগের সঠিক মূল্যায়ন করতে অনেক সময়ই সক্ষম হন না।
তবে আগের তুলনায় নারীদের উচ্চশিক্ষার হার বেড়েছে। অনেক বেশি আত্মসচেতন ও আত্মনির্ভর হয়ে উঠছেন তারা। রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক কাজের ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতাও বাড়ছে দিন দিন। সে কারণেই পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র থেকে পাওয়া সুযোগ-সুবিধার সঠিক মূল্যায়নে তারা এখন অগ্রগামী।
আরো পড়ুন : ব্যালন ডি’অর-জয়ী প্রথম নারী ফুটবলার আডা হেগেরবার্গ