লালন সাঁই এর মাজার ঘুরে আসুন
- রেজবুল ইসলাম
- ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
জাত গেল জাত গেল বলে একি আজব কারখানা সত্য কাজে কেউ নয় রাজি সবি দেখি তা না-না-না। হ্যা ! বলছিলাম বাউল সম্রাট লালন সাঁই এর কথা । যার জন্ম হয়েছিল ১৭৭৪ সালের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় । আর সবার জীবনের মত সাধারণ জীবন ছিল না তার । শিশু বয়সে বাবাকে হারান । বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান হিসেবে তাকে সেই বয়সেই সংসারের কথা চিন্তা করতে হয় । লালনের সময়কালে যাবতীয় নিপীড়ন, মানুষের প্রতিবাদহীনতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি-কুসংস্কার, লোভ, আত্মকেন্দ্রিকতা সেদিনের সমাজ ও সমাজ বিকাশের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সমাজের নানান কুসংস্কারকে তিনি তার গানের মাধ্যমে করেছেন প্রশ্নবিদ্ধ। আর সে কারণেই লালনের সেই সংগ্রামে বহু শিষ্ট ভূস্বামী, ঐতিহাসিক, সম্পাদক, বুদ্ধিজীবী, লেখক এমনকি গ্রামের নিরক্ষর সাধারণ মানুষও আকৃষ্ট হয়েছিলেন।
১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর প্রায় একমাস পূর্ব থেকে তিনি পেটের সমস্যা ও হাত পায়ের গ্রন্থির সমস্যায় ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতেন না। এসময় তিনি মাছ খেতে চাইতেন। মৃত্যুর দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত তিনি গানবাজনা করেন এবং এক সময় তার শিষ্যদের কে বলেন : “আমি চলিলাম’’ এবং এর কিছু সময় পরই তার মৃত্যু হয়। তার নির্দেশ বা ইচ্ছা না থাকায় তার মৃত্যুর পর হিন্দু বা মুসলমান কোনো ধরনের ধর্মীয় রীতি নীতিই পালন করা হয় নি। তারই উপদেশ অনুসারে ছেউড়িয়ায় তার আখড়ার মধ্যে একটি ঘরের ভিতর তার সমাধি করা হয়।
সমাধিস্থলে গড়ে ওঠে তার আখড়া । তার অগণিত ভক্তরা আসে প্রতি বছর তার মাজারে । প্রতিবছর ফাল্গুন মাসে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে) ঢোল পূর্ণিমায় এবং অক্টোবরে লালন স্মরণ উৎসবে বাউল গায়ক এবং উৎসাহীরা প্রচুর সংখ্যায় লালনের আখড়ায় এসে থাকেন। এই উৎসবগুলোর সময় বাউলেরা তাঁদের আধ্যাত্মিক নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁদের আত্মার তৃষ্ণা মেটাতে আবেগের সাথে লালনগীতি গেয়ে থাকেন। এ সময় লালন আখড়ায় আসলে আপনি নিঃসন্দেহে উপভোগ করবেন। জাত গেল জাত গেল বলে একি আজব কারখানা সত্য কাজে কেউ নয় রাজি সবি দেখি তা না-না-না। হ্যা ! বলছিলাম বাউল সম্রাট লালন সাঁই এর কথা । যার জন্ম হয়েছিল ১৭৭৪ সালের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় ।
আর সবার জীবনের মত সাধারণ জীবন ছিল না তার । শিশু বয়সে বাবাকে হারান । বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান হিসেবে তাকে সেই বয়সেই সংসারের কথা চিন্তা করতে হয় । লালনের সময়কালে যাবতীয় নিপীড়ন, মানুষের প্রতিবাদহীনতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি-কুসংস্কার, লোভ, আত্মকেন্দ্রিকতা সেদিনের সমাজ ও সমাজ বিকাশের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সমাজের নানান কুসংস্কারকে তিনি তার গানের মাধ্যমে করেছেন প্রশ্নবিদ্ধ। আর সে কারণেই লালনের সেই সংগ্রামে বহু শিষ্ট ভূস্বামী, ঐতিহাসিক, সম্পাদক, বুদ্ধিজীবী, লেখক এমনকি গ্রামের নিরক্ষর সাধারণ মানুষও আকৃষ্ট হয়েছিলেন
১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর প্রায় একমাস পূর্ব থেকে তিনি পেটের সমস্যা ও হাত পায়ের গ্রন্থির সমস্যায় ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতেন না। এসময় তিনি মাছ খেতে চাইতেন। মৃত্যুর দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত তিনি গানবাজনা করেন এবং এক সময় তার শিষ্যদের কে বলেন : “আমি চলিলাম’’ এবং এর কিছু সময় পরই তার মৃত্যু হয়। তার নির্দেশ বা ইচ্ছা না থাকায় তার মৃত্যুর পর হিন্দু বা মুসলমান কোনো ধরনের ধর্মীয় রীতি নীতিই পালন করা হয় নি। তারই উপদেশ অনুসারে ছেউড়িয়ায় তার আখড়ার মধ্যে একটি ঘরের ভিতর তার সমাধি করা হয়।
সমাধিস্থলে গড়ে ওঠে তার আখড়া । তার অগণিত ভক্তরা আসে প্রতি বছর তার মাজারে । প্রতিবছর ফাল্গুন মাসে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে) ঢোল পূর্ণিমায় এবং অক্টোবরে লালন স্মরণ উৎসবে বাউল গায়ক এবং উৎসাহীরা প্রচুর সংখ্যায় লালনের আখড়ায় এসে থাকেন। এই উৎসবগুলোর সময় বাউলেরা তাঁদের আধ্যাত্মিক নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁদের আত্মার তৃষ্ণা মেটাতে আবেগের সাথে লালনগীতি গেয়ে থাকেন। এ সময় লালন আখড়ায় আসলে আপনি নিঃসন্দেহে উপভোগ করবেন। কুষ্টিয়া শহর থেকে অদূরেই লালন শাহ এর মাজার । কুষ্টিয়াতে বাস এবং ট্রেন যোগে আসতে পারবেন । কুষ্টিয়া শহরে নেমে রিক্সা অথবা অটোরিক্সা করে যেতে পারবেন ।
তথ্য এবং ছবি : গুগল