ড্রিম হলিডে পার্ক - যা দেখবেন সব বাস্তব !
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- নভেম্বর ১, ২০১৭
আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন উয়ারী বটেশ্বর ও সবুজে ঘেরা নরসিংদীর একমাত্র চিত্তবিনোদন কেন্দ্র হচ্ছে ড্রিম হলিডে পার্ক। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক লাগোয়া সদর উপজেলার পাঁচদোনা এলাকার চৈতাবতে গড়ে উঠা দৃষ্টিনন্দন এই বিনোদন পার্কটি গত পাঁচ বছরে নজর কেড়েছে দর্শকদের।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ড্রিম হলিডে পার্কে পাওয়া যাবে হিমালয় পাহাড়ের সাদৃশ্য। নানা রাইডের পাশাপাশি ভূতের বাড়িসহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ২০টি জ্যান্ত ভূত! এগুলো কখনো ভয়, কখনো আনন্দে মাতিয়ে রাখে শিশু-কিশোরদের। রয়েছে ওয়েবপুল। যেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে কান পাতলেই শোনা যাবে সমুদ্রের গর্জন। প্রকৃতির এক অপরূপ ছোঁয়ায় মনমাতানো পাহাড়ি ঝর্ণায় আপনি হারিয়ে যেতে পারেন।
প্রায় আড়াই হাজার শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই বিনোদন পার্কে ছোটদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু রাইড। এছাড়াও রয়েছে অত্যাধুনিক সুইমিংপুল, এয়ার বাইসাইকেল, বাম্পারকার, সোয়ান র্বোড, ওয়াটার র্বোড, অত্যাধুনিক রোলার কোস্টার, ডেমুট্রেন , সুইং চেয়ার, স্পিডবোট, বাচ্চাদের অতিপ্রিয় নটিক্যাসেল, জাম্পিং হর্স, বসানো হয়েছে লাফার কিংসহ বিভিন্ন রাইড। পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে আইসপাহাড়। আনন্দ উপভোগ করতে পার্কটিকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন আঙিকে প্রস্তুত করা হয়েছে। পার্কের ভেতরে অত্যাধুনিক মোজাইক পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পায়ে হাঁটার অত্যাধুনিক রাস্তা।
দর্শনাথীদের খাবারের চাহিদা মেটাতে এখানে রয়েছে অত্যাধুনিক চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, বাংলা খাবারসহ চটপটি ফুচকা ও আইসক্রিম পার্লার। পাশাপাশি রয়েছে বিখ্যাত জামদানি হাউস। পাবেন মেয়েদের থ্রি-পিস, বেড শিট ও অন্যান্য জিনিসপত্র। দর্শনার্থীদের বসার জায়গা আধুনিকভাবে তৈরি করা হয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত খুপড়ি ঘর।
বিনোদনের জন্য রয়েছে সঙ্গীতের নানা ধরনের উপকরণ। যে কেউ পুরো পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে সময় কাটাতে পারেন এখানে। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত প্রতিদিন খোলা থাকে এটি। পার্কে প্রবেশ করতে গুণতে হবে ২০০ টাকা। ড্রিম হলিডে পার্কে পিকনিক আয়োজন করতে চাইলে রয়েছে মধুরিমা ও মায়াবী নামের দুটি পিকনিক স্পট। পিকনিকের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ২ রুমের একটি বাংলোর ব্যবস্থা থাকছে । এর পাশাপাশি রয়েছে দোতলা বাংলোর ব্যবস্থাও। পরিবার নিয়ে থাকার জন্য পার্কের নিজস্ব চারটি কটেজ রয়েছে। মূল্য পরিশোধ করে বিলাসবহুল কটেজে রাত্রিযাপন করতে পারবেন।
যেভাবে যাবেন :
রাজধানী ঢাকার কমলাপুর, মহাখালী, সায়েদাবাদ ও গুলিস্তান থেকে বাসে করে যাওয়া যায়। ২০ মিনিট পরপর বাস পাবেন। আন্তঃনগর এগারসিন্দুর ও মহানগর গোধূলী ট্রেনেও যেতে পারেন। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রামের যেকোনো লোকাল ট্রেনে যাওয়া যেতে পারে। আন্তঃনগর ট্রেনে গেলে নরসিংদী রেলস্টেশনে নেমে সেখান থেকে বাস অথবা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যেতে হবে। আর লোকাল ট্রেনে গেলে নরসিংদী স্টেশন ছাড়া ঘোড়াশাল স্টেশনেও নামতে পারেন। সেখান থেকে বাসে যেতে হবে।
এ ছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলকারী কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেট এর যে কোনো বাসে উঠলেই সরাসরি এ পার্কে পৌঁছানো যাবে। কিংবা কাঁচপুর অথবা টঙ্গী থেকে কালীগঞ্জ, ঘোড়াশাল হয়ে যাওয়া যাবে অনায়াসে। এক থেকে সর্বোচ্চ দেড় ঘণ্টা লাগবে।
তথ্য এবং ছবি : গুগল