মাচুপিচু-মাসাইমারা, আদিবাসী সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত ১০ স্থান

  • ওমেন্স কর্নার
  • জুলাই ৮, ২০২৪

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা উপজাতিরা। তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে ও জীবনধারা উপভোগ করতে দর্শনার্থীরা বিশ্বের বিভিন্ন আদিবাসী অঞ্চলে ঢুঁ মারেন। বিশ্বে এমন অনেক স্থান আছে যেগুলো আদিবাসী সংস্কৃতির জন্য পরিচিত।

যেখানে দর্শনার্থীরা আদিবাসীদের ঐতিহ্যগত রীতিনীতি, শিল্প ও জীবনধারা সম্পর্কে জানতে পারেন। আপনারও যদি আদিবাসী সংস্কৃতি নিয়ে মনে নানা কৌতূহল থাকে, তাহলে বিশ্বের বিখ্যাত কয়েকটি স্থানে ঘুরে আসতে পারেন। যেমন-

মাচুপিচু, পেরু

পেরুর আন্দিজ পর্বতমালার উপরে মাচুপিচু অবস্থিত। যা ইনকা সাম্রাজ্যের অন্যতম নিদর্শন। স্থানটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে বিবেচিত। মাচুপিচু মূলত পাথরের নির্মাণ কৌশলের জন্য বিখ্যাত, যেখানে পাথরগুলো মর্টার ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছে, যা সত্যিই বিস্ময়কর।

মাসাইমারা, কেনিয়া

মাসাইমারা শুধু বন্যপ্রাণীর জন্যই বিখ্যাত নয়, মাসাই সম্প্রদায়ের জন্যও বিখ্যাত। যারা এখনো অনেকটাই যাযাবর জীবনধারা বজায় রেখেছে। মাসাইরা তাদের স্বতন্ত্র পোশাক, পুঁতির গয়না, ভূমি ও বন্যপ্রাণীর সঙ্গে তাদের সম্পর্কের জন্য পরিচিত। মাসাই গ্রাম ঘুরে আপনি তাদের জীবনধারা, আবাসন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আরো পড়ুন:

দেশের বাইরে লাখ টাকার মধ্যে ঘুরে আসতে পারেন এই ৫ স্থান
চীনের যে স্থানে মাটির নিচে বাস করে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ
ঘুরে আসুন ভারতের ‘স্কটল্যান্ড’ কুর্গ থেকে 
ঘুরে আসুন ‘উটি’ থেকে। উপভোগ করুন চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য
উলুরু, অস্ট্রেলিয়া

উলুরু বা আয়ার্স রক হলো উত্তর টেরিটরির ‘রেড সেন্টারের’ একটি বিশাল বেলেপাথরের মনোলিথ। এটি ওই দেশের আনাঙ্গু সম্প্রদায়ের কাছে আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ। উলুরু ও এর আশপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যে মুগ্ধ হতেই সেখানে যান পর্যটকরা।

চিয়াং মাই, থাইল্যান্ড

উত্তর থাইল্যান্ডের একটি শহর হলো চিয়াং মাই। কারেন, হমং, লিসু, আখা ও লাহুসহ দেশের পাহাড়ি উপজাতিদের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে চিয়াং মাই। প্রতিটি উপজাতিরই আছে স্বতন্ত্র ঐতিহ্য, ভাষা ও কারুশিল্প।

এই গ্রামগুলো ভ্রমণকালে আপনি দেখতে পাবেন আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ঘর, তাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ ও সরাসরি কারিগরদের কাছ থেকে হস্তনির্মিত কারুশিল্প কেনার সুযোগ।

কুসকো, পেরু

ইনকা সাম্রাজ্যের ঐতিহাসিক রাজধানী হলো কুসকো। সেখানকার সরু রাস্তায় ও প্রাচীন পাথরের দেওয়ালে আন্দিয়ান সংস্কৃতির সংমিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়। কুসকোর সান পেড্রোর বাজার বেশ জনপ্রিয়। সেখানেই আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী সব পোশাক, খাবার ও কারুশিল্পের পণ্য পাবেন।

আমাজন রেইনফরেস্ট, ব্রাজিল/পেরু

আমাজন রেইনফরেস্টে অসংখ্য উপজাতির আবাসস্থল। যারা বিশ্বের অন্যতম জীববৈচিত্র্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাসের জন্য মানিয়ে নিয়েছে। এই উপজাতিদের রেইনফরেস্ট ও এর সম্পদ সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান আছে। গাইডের সাহায্যে আপনিও সেখাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবনধারা নিজ চোখে দেখে আসতে পারবেন।

নাভাজো নেশন, অ্যারিজোনা

নাভাজো জাতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম নেটিভ আমেরিকান অঞ্চল। দর্শনার্থীরা সেখানে গেলে আরও দেখতে পাবেন মনুমেন্ট ভ্যালি ও ক্যানিয়ন ডি চেলির অত্যাশ্চর্য ল্যান্ডস্কেপ। একই সঙ্গে চোখ জুড়াবে নাভাজোদের বুনন, রৌপ্য কাজ ও বালি-পেইন্টিং দেখে। চাইলে সেসব কাজ শিখতেও পারেন।

সামি সংস্কৃতি, নরওয়ে/সুইডেন/ফিনল্যান্ড

সামি গোত্রের মানুষরা নরওয়ে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের আর্কটিক অঞ্চলের আদিবাসী। রেইনডিয়ার পালন ও ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের জন্য বিখ্যাত তারা।

পাপুয়া নিউ গিনি

পাপুয়া নিউ গিনি বিশ্বের সবচেয়ে সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় দেশগুলোর মধ্যে একটি। যেখানে ৮০০টিরও বেশি আদিবাসী ভাষা বলা হয়। সেখানকার প্রতিটি উপজাতির নিজস্ব রীতিনীতি, শিল্প ও আচার আছে।

ভানুয়াতু

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপ দেশ হলো ভানুয়াতু। সেখানেই মেলানেশিয়ান সংস্কৃতির চর্চা হয়। দ্বীপগুলো তাদের অনন্য আচার-অনুষ্ঠান, নাচ ও অনুষ্ঠানের জন্য পরিচিত।

একসুপ কালচারাল ভিলেজের মতো গ্রামগুলো ভ্রমণে দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন সেখানকার ঐতিহ্যবাহী নৃত্য। একই সঙ্গে সঙ্গীত, স্থানীয় রীতিনীতি ও লোককাহিনীও আপনাকে বিস্মিত করে তুলবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment