নেপাল ভ্রমণে যেসব স্থানে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না
- ওমেন্স কর্নার
- জুলাই ১৪, ২০২৪
নেপালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শনে প্রতিবছর সেখানে ভিড় করেন বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ। সেখানকার সংস্কৃতি, ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের বরাবরই মুগ্ধ করে। বেশ ছোট আয়তনের একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও নেপালের ভূমিরূপ অত্যন্ত বিচিত্র। নেপালেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট অবস্থিত।
নেপাল নামটির সঠিক উৎপত্তি সম্বন্ধে জানা যায়নি। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় মত অনুসারে, নেপাল নামটি দুটি শব্দ নে ও পাল থেকে এসেছে। যাদের অর্থ যথাক্রমে পবিত্র ও গুহা। তাহলে নেপাল শব্দের অর্থ দাঁড়াচ্ছে পবিত্র গুহা।
জানলে অবাক হবেন, নেপালের ভূ-প্রকৃতি অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ নেপালের আকৃতি অনেকটা চতুর্ভূজের মতো, প্রায় ৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মাইল) দৈর্ঘ্য ও ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) প্রস্থ। নেপালের মোট আয়তন প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ১৮১ বর্গকিলোমিটার (৫৬ হাজার ৮২৭ বর্গমাইল)।
ভূ-প্রকৃতির বৈচিত্র্য অনুসারে নেপাল তিন ভাগে বিভক্ত- পর্বত, পাহাড়ি উঁচু ভূমি ও নিচু সমতল ভূমি। দক্ষিণে ভারতের সীমান্তঘেঁষা তরাই নিম্নভূমি নারায়ণী ও কর্ণালী নদীবিধৌত। নেপালের সবচেয়ে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নাগরকট, পোখরা ও কাঠমান্ডু।
যারা এরই মধ্যে নেপাল ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছেন তারা সেখানে গিয়ে বেশ কয়েকটি স্থানে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার নেপাল ভ্রমণ পরিপূর্ণ করতে কোন কোন স্থানে অবশ্যই যাবেন-
কাঠমান্ডু উপত্যকা
কাঠমান্ডুর দরবার স্কয়ার, পাটন দরবার স্কয়ার ও ভক্তপুর দরবার স্কয়ারে প্রাচীন মন্দির ও প্রাসাদগুলো ঘুরে দেখুন। স্বম্ভুনাথ (বানরের মন্দির) ও বৌধনাথ স্তূপ মিস করবেন না।
হিমালয় ট্রেক
এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ট্রেক, অন্নপূর্ণা সার্কিট বা ল্যাংটাং ভ্যালি ট্রেকের মতো জনপ্রিয় ট্রেকিং রুটের পরিকল্পনা করুন। সেখানকার পর্বত-প্রাকৃতিক দৃশ্য ও স্থানীয় সংস্কৃতি আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
লুম্বিনি
ভগবান বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনি পরিদর্শন করুন। এটি একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। সেখানে গেলে পাশের মায়া মন্দিরও ঘুরে আসুন।
আরো পড়ুন:
একদিনেই পুরান ঢাকার যেসব স্থানে ঘুরতে পারেন
হিমালয়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? এই টিপসগুলো জেনে নিন
ট্যুর বুকিং করার সময় যে ছয় বিষয় মাথায় রাখবেন
ঢাকার কাছে ৮ রিসোর্ট সম্পর্কে জানুন
চিতওয়ান জাতীয় উদ্যান
বন্যপ্রাণী ও বিভিন্ন উদ্ভিদ দেখতে অবশ্যই ঢুঁ মারুন চিতওয়ান জাতীয় উদ্যানে। সেখানে দেখবেন গণ্ডার, বাঘ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী দেখতে পারবেন। সময় থাকলে হরেক প্রজাতির পাখি এমনকি হাতির গোসলের বিরল দৃশ্যও দেখতে পারবেন।
পোখরায় অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস
অন্নপূর্ণা রেঞ্জের দৃশ্যসহ ফেওয়া লেকের উপর দিয়ে প্যারাগ্লাইডিং পোখরার একটি জনপ্রিয় অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। এছাড়া জিপ-লাইনিং, বাঞ্জি জাম্পিংও করতে পারবেন।
পোখরা
পোখরার ফেওয়া লেকে ভেসে বেড়াতে নৌকায় ভ্রমণ করুন। চাইলে তাল বারাহি মন্দির পরিদর্শন করুন। এছাড়া ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগোডা, ডেভিস ফলস ও ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেন মিউজিয়াম দেখুন।
বান্দিপুর
সংরক্ষিত বিভিন্ন নেওয়ারি স্থাপত্য দেখতে পাবেন বান্দিপুরে। পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এই মনোমুগ্ধকর শহর আপনাকে বিমোহিত করবেই। বান্দিপুরে গিয়ে উপভোগ করুন আশপাশের উপত্যকা ও হিমালয়ের চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য।
ভ্রমণের পাশাপাশি পোখরা ও লুম্বিনিতে যোগব্যায়াম ও কিছুটা ধ্যান করে নিন। সেখানকার নির্মল আবহাওয়া আর শান্ত পরিবেশ আপনার মন ও শরীরের নেতিবাচক অনুভূতি অনেকটা দূর করে দেবে। এছাড়া কাঠমান্ডু ও অন্যান্য পর্যটন এলাকায় স্পা ও আয়ুর্বেদিক থেরাপিও নিতে পারেন।
নেপালে ভ্রমণ করবেন আর সেখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নেবেন না তা কি হয়? এজন্য চেখে দেখুন নেপালের মোমো, ভাত-ডাল ও নেওয়ারি খাবার।