ঝিনাইদাহের গোরার মসজিদ
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- মার্চ ৭, ২০১৮
ঝিনাইদাহের কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে এর দুরত্ব প্রায় ২৫ কিঃ মিঃ দূরত্বে রয়েছে এ মসজিদটি । গোরার মসজিদটি আকৃতিগতভাবে বর্গাকৃতির। মসজিদের পূর্বে রয়েছে একটি বড় ঘাটবাঁধানো পুকুর যদিও বর্তমানে পুকুর ঘাটটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মসজিদটিতে মাত্র একটি গুম্বজ রয়েছে। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে বারোবাজারে প্রত্নতত্ত্বের সন্ধানে খনন কাজ শুরু হলে আরও বেশ কয়েকটি মসজিদের সাথে এই মসজিদটিও আবিষ্কৃত হয়। আবিষ্কারের পরপরই এ মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রকাশিত প্রত্নতত্ত্ব তালিকাতে স্থান করে নেয়। কিংবদন্তী অনুসারে, গোরাই নামে একজন সুফী এ অঞ্চলে এই মসজিদটিতে বসবাস করতেন। তাঁর নাম অনুসারে এ মসজিদকে গোরাই মসজিদ হিসেবে ডাকা হয়। মসজিদের পাশে আবিষ্কৃত একটি কবরকে স্থানীয়রা গোরাই দরবেশের কবর বলে মনে করেন।
বর্তমানে এ মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়া হয়। মসজিদে ৫ ফুট প্রশস্ত দেয়াল আছে। পুর্বের দিকে ৩টি প্রবেশদ্বার , দু’পাশের দু’টি অপেক্ষাকৃত ছোট। উত্তর ও দক্ষিণের দেয়ালে ২ টি বড় ও ২ টি ছোট মোট ৪টি প্রবেশ পথ ছিল। এখন এগুলো জানালা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পশ্চিমের দেয়ালে ৩টি মেহরাব আছে। পশ্চিম দেয়ালে ৭/৮ ফুট লম্বা ২টি এবং উত্তর ও দক্ষিণের দেয়ালে ২টি মোট ৪ টি কালো পাথরের স্তম্ভ আছে। মসজিদের দেয়ালে পোড়মাটির পত্র-পুস্পে শোভিত শিকল, ঘন্টা, ইত্যাদি আরোও অনেক নকশা আছে।
এ মসজিদের বাইরের দেয়াল সম্পূর্ণটাই পোড়ামাটির কারুকার্য দ্বারা চমৎকার ভাবে অলংকৃত। মসজিদটি মুসলিম স্থাপত্যের এক নয়নাভিরাম ও অনন্য উদাহরণ। এটি সম্ভবত হোসেন শাহ বা তার পুত্র নসরত শাহ কর্তৃক নির্মিত। এ মসজিদের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায় গৌড়ের সাত্তম ও খনিয়া দীঘি মসজিদ, দিনাজপুরের সুরা মসজিদ, দেওয়ানগড় মসজিদ, টাঙ্গাইলের আতিয়া মসজিদ ও সিংহদার আওলিয়া মসজিদের।
তথ্য এবং ছবি : গুগল