অলস দুপুরে বুড়িগঙ্গার বুকে !
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- নভেম্বর ৪, ২০১৭
প্রকৃতির ছোঁয়ায় নিজেকে স্পর্শ করাতে চাইলে প্রথমেই চলে আসে নদীর কথা। যে কোনো ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রার্থিত একটা জায়গা হলো নদী। একটু লক্ষ করলেই দেখবেন, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই তাদের মূল পর্যটন ভাবনাটা গড়ে উঠেছে নদীকে ঘিরে। নদীর কাছে যত সহজে পৌঁছানো যায় আর যতটা নির্ভর করা যায়, অন্য কোনো জায়গায় সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
কোন এক মধ্যে অলস দুপুরে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন বুড়িগঙ্গা নদী থেকে। অনেকেই বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্ব পরে যায় বুড়িগঙ্গার গন্ধ নিয়ে, সেখানে যাওয়াটা কতটা সমীচীন হবে ! তাও একদিন সব দ্বিধা কাটিয়ে ঘুরে আসতে পারেন বুড়িগঙ্গা নদীর বুক থেকে !
বুড়িগঙ্গা নদীতে যেয়েই উঠে পড়েন কোনো এক তিনতলা লঞ্চে। লঞ্চে উঠেই চোখ ভরে দেখতে শুরু করেন নদীকে, নিজের ভিতরে ঢুকিয়ে নিন ঢেউয়ের দোলায়, ঝিরঝিরে বাতাসে, মিহি রোদ।
চারপাশের প্রকৃতি উপভোগ করেন কখনো দাঁড়িয়ে, কখনো চেয়ারে বসে। মুগধ হয়ে উপভোগ করেন বুড়িগঙ্গার টলমলে জল, ঢেউয়ে ভেসে-ভেসে চলা খেয়ানৌকা, ধীরে বয়ে চলা স্টিমার, মালবোঝাই কার্গো, ভাসমান ফলের দোকান, দুই পাড়ের মানুষের জীবন, ওপরে শরতের মেঘমুক্ত ঝকঝকে নীল আকাশ, অল্প কিছু সাদা মেঘের বিচরণ, মুক্ত বিহঙ্গদের ওড়াউড়ি, হেমন্তের হিমেল হাওয়া, মাঝে মাঝে বড় বড় ঢেউয়ের দোলায় লঞ্চের দুলে ওঠা।
আপনি বুঝতেই পারবেন না বুড়িগঙ্গার যে কোনো লঞ্চের ছাদে বা ভেতরে বসে কিভাবে সময় চলে যাচ্ছে। দেখতে পারবেন জলজ জীবনের নিত্যকার জীবন। লঞ্চের মধ্যেই রান্না, খাওয়া, গোসল আর ঘুমের অন্য রকম এক জীবন। আপনি চাইলে লঞ্চ থেকে নামতে পারেন কোনো খেয়াঘাটে, শীতল জলে পা ভেজাতে, চড়তে পারেন খেয়া নৌকায়, এপার-অপার করে নদীকে আরো কাছ থেকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে উপভোগ করতে। এমনকি চাইলে ঘণ্টাব্যাপী ভাড়াও করতে পারেন কোনো নৌকা। ভেসে পড়তে পারেন প্রিয়জনের হাত ধরে। দেখবেন একটা অসাধারল মনে রাখার মতো বিকেল পাবেন।
কিভাবে যাবেন :
ঢাকার যে কোনো জায়গা থেকে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বাস ভাড়া দিয়ে চলে যেতে পারেন সদরঘাট বা বুড়িগঙ্গার তীরে। এপার-অপার নৌকা ভাড়া পড়বে ১০ টাকা করে। সদরঘাট, কালীগঞ্জ, শ্যামবাজার ছাড়াও আছে আরো বেশ খেয়া পারাপারের ঘাট। এ ছাড়া ঘণ্টাব্যাপী নৌকা ভাড়া ২০০-৩০০ টাকা। আপনি দরদাম করে নিবেন।
তথ্য এবং ছবি : গুগল