ভাবুন তো একবার, সাগরের তলদেশে আপনি হাঁটছেন !
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- ডিসেম্বর ৪, ২০১৭
উপসাগরের শক্তিশালী লোনা বাতাসের ধাক্কা সামলাতেই আপনি ব্যতিব্যস্ত থাকবেন । বাতাস আর লবণাক্ত পানির ছাটে চোখ জ্বলে ওঠবে। থাইল্যান্ড উপসাগর উত্তাল হয়ে আছে। গাঢ় নীল সাগর এখানে খানিকটা কালচে। দ্রুতগামী ফেরি পাতায়া বন্দর থেকে আপনাদের নিয়ে যাবে কোরাল আইল্যান্ডে।
একসময় বাতাস পড়ে যাবে । চোখের সামনে দ্বীপটা একটু একটু করে স্পষ্ট হয়ে ওঠবে । এই কোরাল আইল্যান্ডের আশপাশে ছোট ছোট বেশ কয়েকটা দ্বীপ। এই দ্বীপপুঞ্জে একটাই বন্দর। গোটা দ্বীপটাই পাহাড় আর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনে ঢাকা।
তারপর ফেরিঘাট থেকে হেঁটে দ্বীপের ভেতরে ঢুকে পড়বেন । একটু ইতস্তত লাগবে কিন্তু দ্বীপে ঘুরে বেড়ানো আপনার থামবে না। স্থানীয়রা রোমাঞ্চকর সব প্যাকেজের ফিরিস্তি দেয়। আপনি যে প্যাকেজ দেখবেন সেটাই আপনার পছন্দ হয়ে যাবে । কোন প্যাকেজে, সাগরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে প্যারাসুটে বেঁধে ছেড়ে দেবে। শক্তিশালী স্পিডবোট যখন প্যারাসুটের দড়ি নিয়ে ছুটে যাবে খোলা সমুদ্রে, তখন এক টানে প্যারাস্যুটের সঙ্গে আকাশে উড়ে যাওয়া যাবে। আকাশে ভেসে দেখা যাবে সমুদ্র আর দ্বীপ। ব্যানানা বোট নামে একধরনের নৌকা আছে। দেখতে কলার মতো বলেই এমন নাম। ব্যানানা বোটে চড়ে সমুদ্রে ঘুরে বেড়ানোর চমৎকার একটা রাইড আছে। আছে দ্রুতগামী ওয়াটার ট্যাক্সি। পানি ছিটিয়ে ছুটে যাওয়া যায় ইচ্ছেমতো।
অদ্ভুত আরেকটা ব্যাপার আছে এখানে, স্থানীয়রা বলে ‘সি ওয়াক’। এই প্যাকেজে মাথায় অক্সিজেন ভরা হেলমেট পরে সমুদ্রের তলদেশে নেমে যাওয়া যায়। সমুদ্রের তলায় গিয়ে কোরাল রিফের পাশে হেঁটে বেড়ানোর একধরনের বিচিত্র ব্যবস্থা আছে! সমুদ্রের তলায় চলে যাওয়া খানিকটা বিপজ্জনক বিধায় এই প্যাকেজটা অনেকেই বাদ দিয়ে দেয় । ফেরিতে আসা লোকগুলো দ্বীপে পা দিয়েই হুড়মুড় করে এদিক–সেদিক ছুটে যায়। লোক একটু কমে গেলে প্যাকেজের দাম পড়ে যায় হু হু করে।
'সি ওয়াক’-এ কিছু নির্দেশনা রয়েছে যেমন - সমুদ্রের নিচে কোনো পরিস্থিতিতেই উত্তেজিত হওয়া যাবে না। নিচে নেমে যাওয়ার পর সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে হাত দিয়ে ওকে সাইন দেখাতে হবে। অসুস্থ বোধ করলে ওপরে উঠিয়ে নেওয়ার জন্য বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে নির্দিষ্ট একটা সাইন দেখাতে হবে।’ সমুদ্রের নিচে পানির প্রবল চাপে কান বন্ধ হয়ে যায়, কান যাতে বন্ধ না হয়, তার কৌশলও শেখানো হয় । হেলমেটের ওপরে সূক্ষ্ম নল থেকে তাজা অক্সিজেনের একটা প্রবাহ চালু হয়।
তথ্য এবং ছবি : গুগল