প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের প্রিয় নক্ষত্রবাড়ী
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
গাজীপুরে অবস্থিত বেসরকারি রিসোর্টগুলোর মধ্যে সৌন্দর্যমণ্ডিত ‘নক্ষত্রবাড়ী’। নক্ষত্রবাড়ী প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও অতি জনপ্রিয় নাম। প্রকৃতিপ্রেমীদের সব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ঢাকার খুব কাছে একটি রিসোর্ট বানানোর কথা চিন্তা করে অভিনেতা তৌকীর আহমেদ ও বিপাশা হায়াত দম্পতি ১৪ বিঘা জমির ওপর ‘নক্ষত্রবাড়ী’ নির্মাণ করেন। ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় নক্ষত্রবাড়ীর ।
এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, পুকুরের পানির ওপর কাঠ-বাঁশের সমন্বয়ে নির্মিত ১১টি কটেজ। যার বারান্দায় বসে রাতের জোছনা বা পূর্ণিমা দেখা যায়। শুধু তাই নয়, প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে, অতি সৌন্দর্যের কটেজ এগুলো।
এখানে বসে শোনা যায় ব্যাঙের ডাক, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, জোনাকির আলো ছড়ানো টিপ টিপ বাতি জ্বলা-নিভা। পুকুরের পশ্চিম পাশের পানির ওপর গজারী গাছ দিয়ে নির্মিত এসব কটেজ। কটেজগুলোর ওপর রয়েছে ছনের ছাউনি। পুকুরের পূর্ব পাশে ব্রিটিশ আমলের দরজা-জানালা সংবলিত একটি ঘর রয়েছে। একটু পুবে রয়েছে সুইমিং পুল। রয়েছে আরও একটি বিল্ডিং কটেজ। রয়েছে একটি কনফারেন্স রুম ও খাবার হোটেল।
এই হোটেলে রয়েছে বাংলা, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান, থাই, কন্টিনেন্টাল খাবার। এখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছালি রয়েছে। এখানে সার্বক্ষণিক ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তারা সবসময় অতিথিদের সেবায় ব্যস্ত থাকেন। নক্ষত্রবাড়ী কর্তৃপক্ষ সবসময়ই অতিথিদের সব ধরনের সেবা দেওয়ার চেষ্টায় থাকে। এখানে আগতদের বেশির ভাগই প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে উপভোগ করতে চাইলে নক্ষত্রবাড়ী চলে আসতে পারেন।
ভাড়া: পানির ওপর কটেজগুলো ২৪ ঘণ্টার ভাড়া ১০ হাজার ৭৫২ টাকা। বিল্ডিং কটেজের ভাড়া কাপলবেড ৮ হাজার ২২২ টাকা এবং টু-ইন বেড ৬ হাজার ৯৫৮ টাকা। দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫০০ টাকা।
যেভাবে যাবেন : নিজস্ব পরিবহন বা যাত্রীবাহী বাসে করে গাজীপুর চৌরাস্তা হয়ে ঢাকা-কাপাসিয়া মহাসড়কের রাজাবাড়ী বাজারে নামতে হবে। পরে রাজাবাড়ী বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে চিনাশুখানিয়া গ্রামের বাঙালপাড়া এলাকায় নক্ষত্রবাড়ীর অবস্থান, যা কাপাসিয়া-শ্রীপুরের সীমানা বেষ্টিত এলাকা।
তথ্য এবং ছবি : গুগল