দিনাজপুর জেলা সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ জেলা। দিনাজপুর জেলা উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার মধ্যে বৃহত্তম। জেলাটির আয়তন মোট ৩,৪৪৪.৩০ বর্গকিমি এবং জেলার জনসংখ্যা মোট ৩১,০৯,৬২৮ জন। জেলাটির জনঘনত্ব ৯০০/বর্গকিমি এবং সাক্ষরতার হার মোট ৮৫.৫%।
দিনাজপুর জেলার উত্তরে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলা, দক্ষিণে জয়পুরহাট জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে রংপুর ও নীলফামারী জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাদ্বয় অবস্থিত। দিনাজপুর জেলার নামকরণ নিয়ে জানতে গেলে দেখা যায়, দিনাজপুর জেলা ১৭৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তার নামানুসারেই রাজবাড়িতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় "দিনাজপুর"। পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসকরা ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে জেলার নামকরণ করে "দিনাজপুর"।
দিনাজপুর মূলত সারা দেশে তীব্র শীতের জন্য পরিচিত হলেও, গ্রীষ্মকালে গরমের তীব্রতা অত্যন্ত বৃদ্ধি পায়। দিনাজপুরের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৫° সেলসিয়াস। দিনাজপুর বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। কিন্তু তবুও দিনাজপুর অনেক নদী ও পানি সম্পদের অধিকারী। চাষাবাদের জন্য দিনাজপুরের মোহনপুরে ছোট যমুনা নদীতে রাবার ড্যাম দেওয়া হয়েছে।
দিনাজপুর একটি কৃষিনির্ভর জেলা। জেলার অর্থনীতির চালিকাশক্তি হলো চাষবাস । দিনাজপুরে আলু চাষ জনগোষ্ঠীর মোট আয়ের ৬৩.৯০% আসে কৃষিখাত থেকে। দিনাজপুর জেলার মোট আয়ের ৬.২৯% ও ৩.৯০% আসে যথাক্রমে অকৃষি শ্রমিক ও শিল্পখাত থেকে। প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে দিনাজপুরে রয়েছে পিট-কয়লার খনি। বাংলাদেশে আবিষ্কৃত পাঁচটি কয়লাখনির মধ্যে তিনটির অবস্থান দিনাজপুরে।
দিনাজপুর রাজধানী ঢাকা থেকে ৪১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার সাথে সড়ক ও রেলপথে দিনাজপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। দিনাজপুরেও রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান এবং এগুলো দেখার জন্যে প্রতি বছর অনেক দর্শনার্থীরা ভিড় জমায় দিনাজপুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্যে।
তথ্যঃ গুগল