
শেরপুর জেলা
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- অক্টোবর ৩০, ২০২০
শেরপুর জেলা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। তবে শেরপুর পূর্বে ১৮২৯-২০১৫ পর্যন্ত এটি ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ছিল। গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজীর নামানুসারে শেরপুর নামে নামকরণ করা হয়। শেরপুর জেলার আয়তন মোট ১,৩৬৪.৬৭ বর্গকিমি এবং জনসংখ্যা মোট ১৩,৫৮,৩২৫, জেলার জনঘনত্ব ১,০০০/বর্গকিমি। শেরপুর জেলার সাক্ষরতার হার মোট ৮৮.০৪%। এই জেলার বার্ষিক গড় তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১২° সে. থেকে সর্বোচ্চ ৩৩.৩° সে.। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২১৭৪ মি.মি.।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের স্তন টিউমার বা ফাইব্রোএডেনোমা নিয়ে কিছু তথ্য
উত্তরে ভারতের মেঘালয়, দক্ষিণ ও পশ্চিমে জামালপুর জেলা ও পূর্ব দিকে ময়মনসিংহ জেলা। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র হলো জেলার একমাত্র নদ। আর প্রধান নদীসমূহ হচ্ছে কংস, ভোগাই, কর্ণঝরা, চেল্লাখালি, ঝিনাই। শেরপুর ১১ নং সেক্টরের অধীনে ছিলো। শেরপুর স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর। জেলার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানসমূহ হচ্ছে: গজনী অবকাশ কেন্দ্র, গড়জরিপা বার দুয়ারী মসজিদ, গোপী নাথ ও অন্ন পূর্ন্না মন্দির। এগুলো ছাড়াও জেলাতে আরও অনেক সুন্দর স্থান রয়েছে যেগুলো দর্শনের জন্য মানুষের ভিড় জমতে দেখা যায়।
শেরপুর জেলার উত্তর সীমান্তের গারো পাহাড় ও তার প্বার্শবর্তী সমতল এলাকায় অনেক নৃ-গোষ্ঠির বসবাস দেখা যায়। তাদের মধ্যে রয়েছে কোচ,গারো,হাজং, ডালু, বানাই এবং রাজবংশী। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ শতশত বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। শেরপুরের অর্থনীতি প্রধানত কৃষিভিত্তিক। জেলার মোট ৩,৩৫,৪৬০ বসতবাড়ির মধ্যে ৬০.১২% খামার যা বিভিন্নরকম ফসল উত্পন্ন করে যেমন স্থানীয় ও উচ্চফলনশীল ধান, গম, পাট, সরিষা, আলু, ডাল, বিভিন্নরকম শাকসবজি, তামাক এবং অন্যান্য। কলা, আম, জাম, নারিকেল, সুপারি, খেজুর, কাঁঠাল, তাল, জাম্বুরা, বেল, পেঁপে, বড়ই, কামরাঙ্গা, আতাফল ইত্যাদি বিভিন্ন ফল চাষ করা হয়।
আরো পড়ুনঃ কেমন হবে একজন গর্ভবতী মায়ের পরিপূর্ন সেবাযত্ন
তথ্যঃ গুগল