প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি বান্দরবান সম্পর্কে বিস্তারিত
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- নভেম্বর ৮, ২০২০
বাংলাদেশের বান্দরবন শহরের বালাঘাটা এলাকায় অবস্থিত বুদ্ধ ধাতু জাদি যা বান্দরবন স্বর্ণ মন্দির নামে সুপরিচিত। ধাতু বলতে মূলত কোন পবিত্র ব্যক্তির ব্যবহৃত বস্তুকে বোঝায়। এই বৌদ্ধ মন্দির বা স্বর্ণমন্দিরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে। ২০০০ সালে ধাঁচে বার্মার স্থাপত্যবিদের তত্ত্বাবধানে মন্দিরটি নির্মিত হয়। এই স্থানের পাহাড়ে একটি পুকুর রয়েছে, নাম দেবতা পুকুর। দেবতা পুকুরটি সাড়ে ৩শত ফুট উচুতে হলে ও সব মৌসুমেই পানি থাকে।
বৌদ্ধ ভানে-দের মতে, এটা দেবতার পুকুর তাই এখানে সব সময় পানি থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হল বুদ্ধ ধাতু জাদি ক্যাং। এটি স্বর্ণমন্দির নামে পরিচিত পেলেও এটি স্বর্ণ নির্মিত নয়। মূলত সোনালী রঙের জন্যেই এটির নাম হয়েছে স্বর্ণমন্দির। স্বর্ণমন্দির পৌছাতে প্রথমেই বান্দরবান আসতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মাইগ্রেন কেন এবং কাদের বেশি হয় ?
ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে এস. আলম, সৌদিয়া, সেন্টমার্টিন পরিবহন, ইউনিক, হানিফ, শ্যামলি, ডলফিন ইত্যাদি পরিবহনের বাসের মাধ্যমে বান্দারবানে পৌছানো যায়। জনপ্রতি এসব বাসের ভাড়া যথাক্রমে নন এসি ৬২০-৬৫০ টাকা ও এসি ৯৫০-১৫০০ টাকা। ঢাকা থেকে বাসে বান্দরবান যেতে সময় লাগে ৮-১০ ঘন্টা। অথবা ট্রেনে যেতে চাইলে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম গামী সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশিতা, মহানগর গোধূলি এইসব ট্রেনে করে চট্রগ্রাম যাওয়া যাবে।
শ্রেনীভেদে ভাড়া ৩৫০ থেকে ১২০০টাকা। চট্টগ্রামের বদ্দারহাট থেকে পূবালী ও পূর্বানী নামের দুটি বাস বান্দারবানের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে। এ দুটি বাসে জনপ্রতি ১২০ টাকা ভাড়া লাগে। চট্রগ্রামের ধামপাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে ২০০-৩০০ টাকা ভাড়ায় বাসে করে বান্দরবান আসা যায়।
আরো পড়ুনঃ খাবারে যখন কমবে পেটের অবাঞ্ছিত মেদ !
বৌদ্ধধর্মাবলম্বী ব্যতীত অন্যান্য সকল পর্যটক টিকিটের বিনিময়ে মন্দির পরিদর্শন করতে পারে তবে মন্দিরের মূল অংশে, যেখানে জাদিটি আছে সেখানে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। বান্দরবান শহরে খাওয়া দাওয়ার জন্যে রয়েছে বেশ নামি দামী কিছু রেস্তোরা, তার মধ্যে তাজিং ডং ক্যাফে, মেঘদূত ক্যাফে, ফুড প্লেস রেস্টুরেন্ট, রুপসী বাংলা রেস্টুরেন্ট, রী সং সং, কলাপাতা রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি।
তথ্যঃ গুগল