বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- নভেম্বর ৮, ২০২০
কেওক্রাডং বা কেওকাড়াডং বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এই জায়গাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা বান্দরবানে অবস্থিত। কেওক্রাডং এর উচ্চতা হলো ৯৮৬ মিটার, যা প্রায় ৩২৩৫ ফুট। কেওক্রাডং বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। জায়গাটি বান্দরবানেরও দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত।
কেওক্রাডং শব্দটি মারমা ভাষা থেকে এসেছে। মারমা ভাষায় কেও মানে 'পাথর', কাড়া মানে 'পাহাড়' আর ডং মানে 'সবচেয়ে উঁচু'। সুতরাং কেওক্রাডং মানে সবচেয়ে উঁচু পাথরের পাহাড়। বগালেক থেকে শুষ্ক মৌসুমে চাঁন্দের গাড়িতে এই কেওক্রাডং পাহাড় চূড়ায় পৌছা যায়। তবে এ জাতীয় গাড়ির সংখ্যা খুবই কম বিধায় গমনের পূর্বেই গাড়ী ভাড়া করতে হবে। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেওক্রাডং পাহাড় সফর করেছেন। তিনি এখানে একটি স্মৃতি ফলক উন্মোচন করেন।
আরো পড়ুনঃ ওটসের খিচুড়ি
কেওক্রাডং এ পর্যটকদের থাকার জন্য আদিবাসীদের ছোট ছোট কিছু কটেজ আছে। সেই সব কটেজেই থাকে সকল পর্যটকরা। একেবারে প্রাকৃতিক পরিবেশে আদিবাসীদের এই কটেজ গুলোতে থাকতে জনপ্রতি খরচ হবে ১০০-২০০ টাকা করে। এক রুমের কটেজেই ৫-৬ জন থাকা যাবে। এছাড়া কাপল কিংবা মহিলাদের জন্য চাইলে আলাদা কটেজের ব্যবস্থা করা যায়। আগে থেকে কোন পছন্দ থাকলে যাবার সময় গাইডকে বলে সেই ঠিক করে রাখা যায় অথবা স্থানে গিয়েও ঠিক করা যায়। আর খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা কেওক্রাডং এর নিয়মানুযায়ী। কেওক্রাডং এর কিছু ভ্রমণ টিপসঃ
১ঃ যেহেতু কেওক্রাডং যেতে আর ঐখানেও অনেক ট্রেকিং করতে হয়, তাই ট্রেকিং এর জন্যে ভালো গ্রিপের জুতা ব্যবহার করতে হবে।
২ঃ ব্যাগপ্যাক এর ওজন যত কম রাখা যায়, ট্রেকিং ততই সহজ হবে।
৩ঃ বগালেকে ও কেওক্রাডং এ বিদ্যুৎ নেই, সোলার পাওয়ার সিস্টেম থাকলেও মোবাইল চার্জ দেয়ার জন্যে সাথে করে পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যাওয়া ভালো।
৪ঃ ট্রেকিং এর সময় সাথে পর্যাপ্ত পানি রাখতে হবে। পানি শেষ হয়ে গেলে কোন ঝিরি তে বোতল ভরে নিতে হয়। সাথে কয়েক প্যাকেট স্যালাইন বা গ্লুকোজ নিয়ে নিয়ে নেয়া ভালো।
৫ঃ ঐখানে সব মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না, টেলিটক ও রবির নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। তাই আগে থেকে আত্মীয় স্বজন দের এ বিষয়ে অবগত করে রাখলে ভালো।
আরো পড়ুনঃ ডিমের বিরিয়ানি
৬ঃ বগালেকে গোসল করার সময় সতর্ক থাকতে হবে, কারণ গভীরতা অনেক।
৭ঃ আদীবাসী মানুষের জীবন যাত্রা সমতলের মানুষের মত নয়, তাদের অসম্মান হয় এমন কিছু করা যাবেনা, তাহলে বিপদ ও হতে পারে।
৮ঃ বান্দরবান থেকে বগালেক পুরো রাস্তাই পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা, ভ্রমণে সতর্ক থাকা জরুরী। রুমা বাজার থেকে অবশ্যই আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিতে হবে, বাগলেক আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করতে হবে। কেওক্রাডং ক্যাম্পেও তাই।
তথ্যঃ গুগল