বাংলাদেশের ভাসমান পেয়ারা বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- জানুয়ারি ১৭, ২০২১
বাংলাদেশের ভাসমান পেয়ারা বাজার বসে জলের দেশ বরিশাল এর দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ঝালকাঠী ও স্বরূপকাঠীর বিভিন্ন জায়গায় । ইতিমধ্যেই এই ভাসমান পেয়ারা বাজার এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম পেয়ারা বাগান অথবা পেয়ারা বাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বরিশালে অবস্থিত পেয়ারা বাজারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ভিমরুলি, আটঘর, কুড়িয়ানা বাজার। অনেকে এই ভাসমান বাজার সমুহকে থাইল্যান্ড এর ফ্লোটিং মার্কেট এর সাথে তুলনা করে থাকেন।
প্রতিদিন কয়েক হাজার মন পেয়ারা বেচাকিনি হয় এই অঞ্চলে। দূর দুরান্ত থেকে নদীপথে পাইকাররা এসে এখানে পেয়ারা কিনে। ভিমরুলির পেয়ারা বাজার দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে জুলাই আর অক্টোবরের মধ্যে। বাংলাদেশের উৎপাদিত মোট পেয়ারার প্রায় ৮০ ভাগই উৎপাদিত হয় ঝালকাঠির বিভিন্ন গ্রামে। আটঘর, কুরিয়ানা, ডুমুরিয়া, বেতরা, ডালুহার, সদর ইত্যাদি এলাকার প্রায় ২৪,০০০ একর জমিতে পেযারার চাষ হয়! আর এ পেয়ারা বেঁচা-কেনার জন্য ঝালকাঠির ভিমরুলিতে জমে ওঠে বাংলাদেশের সবচে বড় ভাসমান পেয়ারা বাজার।
আরো পড়ুনঃ কেরালা মাটন কারি
এই এলাকায় রয়েছে অসংখ্য পেয়ারার বাগান। চাষিরা সরাসরি বাগান থেকে পেয়ারা পেরে বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারদের কাছে বিক্রি করে। প্রতি বছরের জুলাই, আগষ্ঠ, সেপ্টেম্বর এই মৌসুমে কয়েকশ কোটি টাকার পেয়ারা উৎপাদন ও কেনাবেচা হয়।ভিমরুলি হাট খালের একটি মোহনায় বসে। তিনদিক থেকেই এই খালটি খোলা আর প্রশস্ত। তিন খালের মোহনায় সাড়িবদ্ধ ভাবে এসে একসাথে হয় সকল চাষীদের নৌকা। ভিমরুলি গ্রামের আশেপাশে রয়েছে অসংখ্য পেয়ারা বাগান,ইক্ষু বাগান।পেয়ারা আর ইক্ষুর মৌসুম শেষ হলে আসে আমড়ার মৌসুম।
এ অঞ্চলে আমড়ার ফলনও সর্বত্র। আর সবশেষে আসে সুপারি। একটু কম হলেও বছরের অন্যান্য সময়ও ব্যস্ত থাকে এই হাট। ফল ছাড়াও এখানের প্রধান পণ্য বিভিন্ন রকম সবজি। পর্যটকরা চাইলে ছোট ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে পেয়ারা বাগানের ভিতরে ঘুরে বেরাতে পারে এবং ইচ্ছামত পেয়ারা খেতে পারবে। বাড়িতে নেয়ার জন্যে ফ্লোটিং মার্কেট থেকে পেয়ারা কিনে নিতে পারে সবাই। আর তাছাড়া চারিদিকের প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই মুগ্ধকর। গাছপালা আর নৌকার সাড়ি সবকিছুর চিত্র মিলে খুবই আকর্ষনীয় একটি জায়গা হিসেবে পরিচিত এই ভাসমান পেয়ারা বাজার।
তথ্যঃ গুগল