মহামায়া হ্রদ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম হৃদ
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- জানুয়ারি ২৭, ২০২১
মহামায়া হ্রদ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম হৃদ। লেকের আয়তন প্রায় ১১ বর্গ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়ক সংলগ্ন চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ৮ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদিঘী বাজার থেকে দেড়/দুই কিলোমিটার পূর্বে পাহাড়ের পাদদেশে এর অবস্থান। ঠাকুরদিঘী স্টেশনে নেমে সিএনজি এর মাধ্যমে যেতে হয় মহামায়া লেক-এ। মহামায়া লেকে কায়াকিং এর জন্য পাওয়া যায় ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও একটি ঝর্ণা।
বর্তমানে এটি স্থানীয় এক ইজারারদারের কাছে ইজারাকৃত রয়েছে। ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত মহামায়া লেকের অন্যতম আকর্ষণ পাহাড়ি ঝরনা। স্বচ্ছ পানির জলাধারের চার পাশ সবুজ চাদরে মোড়া। নীলাভ জলরাশিতে ডিঙি নৌকা কিংবা ইঞ্জিনচালিত বোট নিয়ে হারিয়ে যাওয়া যায় অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে। কায়াকিং করার সময়ে পাহাড়, আকাশ আর প্রকৃতির মিলিত অদ্ভূত এক অনুভূতিতে মুগ্ধ করে দেয় অজান্তেই। শান্ত অনুভূতিতে গা ছমছমে অবস্থা। কায়াকিং বোট প্রতিটির ভাড়া পড়বে ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে।
আরো পড়ুনঃ কোন ব্যথায় কোন সেক দিবেন ?
বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে পানির কলকল ধ্বনিতে মুখরিত মহামায়া লেকে নৌভ্রমণ অন্যরকম আনন্দদায়ক। মহামায়া হ্রদের চারপাশে পাহাড়ের বুক চিরে ছুটে চলা আপনাকে বিমুগ্ধ করবে। গৌধূলিলগ্নে সূর্য যখন অন্তিম নীলিমায় ডুবে যায়, তখনকার লেকের পরিবেশ খুবই চমৎকার। বনভোজনের জন্য মহামায়া দারুণ একটা জায়গা। মহামায়া লেকে চাইলে তাবু নিয়ে রাতেও থাকা যায়। তবে মহামায়াতে ক্যাম্পিং এ মেয়েদের থাকার অনুমতি নেই। এছাড়া মিরসরাই এ থাকার মত তেমন ভালো কোন আবাসিক হোটেল নেই। থাকতে চাইলে মিরসরাই এর কাছে সীতাকুণ্ডে কিছু সাধারণ মানের হোটেল আছে সেখানে থাকতে হয়।
তথ্যঃ গুগল