কুমিরাঘাট সাগরপাড়ে সময় কাটানোর জন্য দারুণ একটা জায়গা!
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- জানুয়ারি ২৯, ২০২১
কুমিরা ঘাট বন্দর নগরী চট্রগ্রামের অন্যতম একটি সুন্দরতম স্থান। অনেক পর্যটনের ভিড় পরে এই কুমিরা ঘাটে যেখানে অনেক ভ্রমণ পিপাসুরাই আসে তাদের মনকে একটু প্রকৃতি দ্বারা মুগ্ধ করে নিতে। এই পর্যটন কেন্দ্রের অবস্থান সীতাকুন্ডের কুমিরার ঘাট ঘরে। সাগরপাড়ে সময় কাটানোর জন্য দারুণ একটা জায়গা এই কুমিরাঘাট। পড়ন্ত বিকেলে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য অবলোকন করা যায় ঠিক পানি আর খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে। এটি মুলত পারাপারের ঘাট তবে এখানে রয়েছে বিশাল দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজ। মনে হবে সমুদ্রের মাঝে গিয়ে আরেক প্রান্ত শেষ হয়েছে। যে কোন দিন এই কুমিরা ঘাটঘর ব্রিজে ঘুরে আসা যায়।
জোয়ার এবং ভাটার সময় দুই রুপ ধারণ করে এই স্থানের প্রাকৃতিক রুপ। সমুদ্রের গর্জন সেই সাথে সাগরের শীতল হাওয়া গায়ে দোলা দিয়ে যায়। জোয়ারের সময় ব্রিজের শেষ মাথায় দাড়ালে মনে হবে যেন সমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন। ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য প্রকৃতির ভালোবাসায় মুগ্ধ হওয়ার জন্য কুমিরা ঘাট অন্যতম একটি জায়গা। কুমিরা ঘাটের এই ব্রিজের আরো অন্যরকম সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ব্রীজের একদম শেষ মাথা থেকে বোট পাওয়া যায় যা দিয়ে ঘুরে আসা যায় মাঝ সমুদ্র থেকে। জনপ্রতি ভাড়া নিবে ২০টাকা। কুমিরা ব্রিজ থেকে সমুদ্রের বুকে দাড়িয়ে থাকা বিশাল বিশাল জাহাজ দেখা যায় শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে।
আরো পড়ুনঃ ডিভোর্স শব্দটা খারাপ নাকি ডিভোর্সি শব্দটা ?
এছাড়া দেখা যায় সমুদ্রগামী ফিশিং বোটে জেলেদের ব্যস্ততা। সন্দ্বীপ ঘুরতে যাওয়ার জন্য ও অনেক ভ্রমণকারীরা কুমিরা ঘাট ব্যবহার করে। কুমিরা ঘাট থেকে জনপ্রতি ২৫০-৩০০ টাকা ভাড়ায় স্পিডবোটে ৩০ মিনিটেই সন্দ্বীপ চ্যানেল পার হয়ে সন্দ্বীপ যাওয়া যায়। যখন সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শিপিং ইয়ার্ডের সোডিয়াম লাইটগুলো জ্বলে উঠে তখন কুমিরা ঘাট অথবা ব্রীজ থেকে পানি ও আকাশের সৌন্দর্য সমারোহ দারুণ লাগে। চট্টগ্রাম থেকে কুমিরা ঘাটে যেতে হলে ছোট কুমিরা নেমে কুমিরা ঘাট যেতে হয়। এখানে থেকে ছোট কুমিরা বাজার থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে নিয়ে একদম ঘাট পর্যন্ত যাওয়া যায়। তাছাড়াও লোকাল আরো কিছু যানবাহন মাধ্যমে যাওয়া যায়। এছাড়া ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটঘর বললে ঘাটঘর ব্রিজে সরাসরি যাওয়া যায়।
তথ্যঃ গুগল