লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১
বাংলার অপরুপ সৌন্দর্য বর্ণনার আরেক নাম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশে অবশিষ্ট চিরহরিৎ বনের একটি উল্লেখযোগ্য নমুনা। বাংলাদেশের ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও ১০টি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে এটি অন্যতম। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত এই জাতীয় উদ্যান।
১২৫০ হেক্টর আয়তনের পুরোটি বন জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে এই বনকে 'জাতীয় উদ্যান' হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এ বনকে বিখ্যাত বলা হয় বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য । রেইন ফরেষ্টের মতো এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। বলতে গেলে সূর্যের আলোর জন্যই প্রতিযোগিতা করে এ বনের গাছপালা খুব উঁচু হয়ে থাকে, এবং অনেক ওপরে ডালপালা ছড়িয়ে চাঁদোয়ার মত সৃষ্টি করে। আর এ জন্যই এখানের সৌন্দর্য যেন আরো বেশি দ্রুত মুগ্ধ করতে সক্ষম হয়।
আরো পড়ুনঃ ছানার মালাই চমচম তৈরি করুন ঘরেই!
এই বন এতই ঘন যে মাটিতে সূর্যের আলো পড়েনা বললেই চলে। আর এ জন্য এই স্থানের অভ্যন্তরীন অঞ্চলে একটু বেশি অন্ধকার থাকে। উঁচু-নিচু টিলা জুড়ে এ বন বিস্তৃত। এখানে বনের মাটিতে বালুর পরিমাণ বেশি এবং প্রচুর পাথরের উপস্থিতি দেখা যায়। বনের গাছপালা অনেক উচু বলে পাতার পরিমাণও বেশি।
তাই মাটিতে পাতা জমে জমে পুরু স্পঞ্জের মতো হয়ে থাকে, অনেক জায়গায় মাটিই দেখা যায় না। আর স্যাতস্যাতে জায়গা বলে এসব স্থানে জোঁকের উপদ্রপ খুব বেশি। বনের ভেতর দিয়ে অনেকগুলো পাহাড়ী ছড়া বয়ে চলেছে। এসব ছড়ার কয়েকটি ছাড়া বাকিগুলোতে শুধু বর্ষার সময়ই পানি থাকে।
আরো পড়ুনঃ মিষ্টি দই তৈরি করুন ঘরেই, টিপসসহ রেসিপি!
লাউয়াছড়া বনাঞ্চলে রয়েছে প্রায় ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ। আছে গর্জন, সেগুন, গামার, মেনজিয়াম, জামরুল, চাপালিশ, নাগেশ্বর, শিমুল, লোহাকাঠ, জাম, ডুমুর, তুন, কড়ই প্রভৃতি। প্রাকৃতিক পরিবেশে নানা ধরনের অর্কিড দেখতে হলেও এ বন এক অপূর্ব স্থান।
তথ্যঃ গুগল