ধুপপানি ঝর্ণা সম্পর্কে বিস্তারিত
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১
বাংলাদেশের অসাধারণ কিছু ভ্রমণস্থানের মধ্যে রাঙ্গামাটির ধুপপানি নামক স্থানটি অন্যতম একটি স্থান। যেখানে অনেক পর্যটকরাই ঘুরতে যায় ঝর্ণার টানে টানে। ধুপপানি ঝর্ণা বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার একটি ঝর্ণা যা ফারুয়া ইউনিয়নের ওড়াছড়ি নামক স্থানে অবস্থিত।স্থানীয়রা দুপপানি ঝর্ণা নামেও ডেকে থাকে। স্থানীয় শব্দে ধুপ অর্থ সাদা আর পানি যুক্ত করে এটিকে সাদা পানির ঝর্ণাও বলা হয়ে থাকে।
ধুপপানি অর্থ সাদা পানির ঝর্ণা। ঝর্ণার পানি স্বচ্ছ এবং যখন অনেক উচু থেকে তার জল আছড়ে পড়ে তখন তা শুধু সাদাই দেখা যায়। তাই একে ধুপ পানির ঝর্ণা বলা হয়। ঝর্ণার সমতল থেকে উচ্চতা প্রায় ১৫০। ঝর্ণা থেকে পানি আছড়ে পড়ার শব্দ প্রায় ২ কিলোমিটার দুর থেকে শোনা যায়। ঝর্ণাটির ওপরে একজন সাধু তার আশ্রমে ধ্যান করেন। স্থানীয় ভাষায় এই ধর্মযাজক সাধুকে বলা হয় ‘ভান্তে’। তথ্যমতে সপ্তাহের ছয় দিন ধ্যান করে শুধু রোববারে খাবার খাওয়ার জন্য সাধু নিচে নেমে আসেন। তাই শুধু রোববারেই ঝর্ণাটায় লোকজনের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরো পড়ুনঃ আমার কপালে অনেক ব্রণ। কি করলে ব্রণ দূর হবে?
তবে ইতিমধ্যেই ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের স্থানের তালিকায় এই স্থানটি জায়গা দখল করে নিয়েছে, তাই এই জায়গায় এখন সপ্তাহের অন্য দিনেও ঝর্ণায় যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। বিলাইছড়ি উপজেলাটি পার্বত্য অঞ্চলের অংশ হওয়ায় স্থানটিতে বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলের মানুষ প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জাতীয় পরিচয়পত্র, কিংবা পাসপোর্টের ফটোকপি, কিংবা যে কোন পরিচয়পত্র সাথে থাকতে হয়, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রদর্শন সাপেক্ষে ওই সকল এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
তথ্যঃ গুগল