হাকালুকি হাওর
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১
বাংলাদেশের ভ্রমণ স্থান গুলোর মধ্যে একটু অন্যরম সৌন্দর্য ধারন করে হাকালুকি হাওর। এই স্থানটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রুপের সাথে পর্যটকদের প্রকৃতি পিপাসা মিটিয়ে থাকে হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর। এটি এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি।হাকালুকি হাওর এর আয়তন ১৮,১১৫ হেক্টর, হাওরটি মৌলভীবাজার জেলার বড়লোক, কুলাউড়া , এবং সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজার জুড়ে বিস্তৃত। ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের কারণে উজানে প্রচুর পাহাড় থাকায় হাকালুকি হাওরে প্রায় প্রতি বছরই আকষ্মিক বন্যা হয়। এই হাওরে ৮০-৯০টি ছোট, বড় ও মাঝারি বিল রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ মৃত শিশু জন্মালে কী করবেন?
শীতকালে এসব বিলকে ঘিরে পরিযায়ী পাখিদের বিচরণে মুখর হয়ে উঠে গোটা এলাকা । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে অপূর্ব লীলাভূমি হাওরটি বছরের বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে অপরূপ দৃশ্যের। যে দৃশ্য অনায়াসে যেকোনো পর্যটককে মুগ্ধ করে তুলতে পারে। দেশের বৃহত্তম এই হাওর অন্যতম বৃহৎ মিঠা পানিরও জলাভূমি। ছোট-বড় ২৪০ টি বিল ও ছোট-বড় ১০ টি নদী নিয়ে গঠিত হাকালুকি হাওর বর্ষাকালে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর এলাকায় পরিণত হয়। এই হাওরে বাংলাদেশের মোট জলজ উদ্ভিদের অর্ধেকের বেশি এবং সঙ্কটাপন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি পাওয়া যায়। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় হাওরের জলরাশির মাঝে সূর্যের প্রতিচ্ছবি বেশ মনোমুগ্ধকর। শীতকালে অতিথি পাখিরা সারি বেঁধে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আসতে থাকে বিলগুলোতে।
পরিযায়ী পাখিদের আগমনে হাওর যেনো পরিণত হয় স্বর্গোদ্যানে। আর এ সময় অতিথি পাখিদের সাথে মিতালি গড়তে মানুষের কলকাকলিও বাড়ে হাওর পারে। হাওরের স্বাদু ও মিঠাপানির বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে, আইড়, চিতল, বাউশ, পাবদা, মাগুর, শিং, কৈসহ আরও নানা প্রজাতির দেশীয় বিলুপ্তির পথের মাছগুলো। ইতিমধ্যেই হাকালুকি হাওর সারা দেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে দেশের অন্যতম একটি ভ্রমণ স্থান হিসেবে। প্রতি বছরই অনেক পর্যটকদের ভিড় জমে যায় এই হাওরে পাড়ে।
তথ্যঃ গুগল