জার্মানীর দর্শনীয় স্থান
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- এপ্রিল ১৯, ২০২১
বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থানের অধিকারী জার্মানী। উন্নতমানের দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত এ দেশ। ভ্রমণ স্থানের জন্য ও সারা বিশ্বেই নাম করেছে এ দেশটি। জার্মানি দেশটি শুধু দারুণ সব যন্ত্রপাতি ও উন্নত গাড়ির দেশ নয়, দেশটিতে রয়েছে দেখার মতো অসাধারণ বহু দর্শনীয় স্থান। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে পর্যটকবান্ধব দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে জার্মানি।
সারা বিশ্বে ১০ টি সেরা ভ্রমণ স্থানের তালিকায় জার্মানির নাম লিপিদ্ধ রয়েছে অপরুপ সকল ভ্রমণ স্পটগুলোর জন্য। জার্মানীর উল্লেখযোগ্য ভ্রমণ স্থান রয়েছে; জার্মানীর মিউনিখের বিখ্যাত ক্যাথেড্রাল ফ্রাউয়েনকির্চির সিঁড়ি দিয়ে একেবারে শীর্ষে আরোহন করা যায়। সেখান থেকে শহরটি ছাড়াও দেখা যায় আল্পস পর্বত। আর পর্যটকরা এই স্থানটি বেশ আনন্দের সাথে উপভোগ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ভাল্ভের রোগ এওরটিক স্টেনোসিস
মিউনিখের সার্ফাররা সেখানকার আইসার নদীর শাখা আইসব্যাচে সময় কাটান।ছুটির দিন অথবা বিশেষ সময়ে অনেকেই এখানে সময় কাটিয়ে থাকেন। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ভাঁটিখানা হলো ওয়েহেনস্টেফানস বিয়ার গার্ডেন। এই স্থানটি জার্মানীতেই অবস্থিত আর এটি ১০৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত।
পর্যটকদের জন্য এই স্থানটি জার্মানীতে বেশ আকর্ষনীয়। উন্নতমানের দেশ জার্মানীতে দ্রুতগামী গাড়ি চলার জন্য বিখ্যাত রাস্তা হলো জার্মানির অটোবাহন। এখানে কোনো সর্বোচ্চ গতিসীমা নেই। উন্নত দেশে উন্নত পরিকল্পনার জন্যই এমন পরিবেশ সম্ভব হয়েছে। জার্মানীর আকর্ষনীয় স্থান মিউনিকের বিখ্যাত পাবলিক পার্ক হলো মিউনিখ ইংলিশ গার্ডেন। পার্কটিতে দেখার মতো রয়েছে গাছপালা, নৌকা চালানোর লেক ও পানাহারের ব্যবস্থা।
আরো পড়ুনঃ যে কারণে বাদাম খাওয়ার পর পানি খাবেন না!
এই পার্কটিতেও অনেক মানুষের উপস্থিতি থাকে প্রায় অনেকটা সময় ধরেই। জার্মানির ২৬১ মাইল দীর্ঘ রোমান্টিক রোড চলে গিয়েছে দারুণ কয়েকটি শহরের ভেতর দিয়ে। এ রাস্তা দিয়ে চললে পাওয়া যাবে জার্মান প্রাকৃতিক ও নানা শহরের দৃশ্য। ১০. প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো একটি শহরের নাম কোলন। এ শহরে রয়েছে দারুণ সব প্রাচীন ভবন, রাস্তা ও ভাঁটিখানা। ১১. টেগার্নসি লেকটির চারপাশে রয়েছে আল্পস পর্বতমালা।
১২. মিউনিখের ডয়েশ মিউজিয়াম বা জার্মান মিউজিয়াম হলো বিশ্বের সবেচেয় পুরনো ও বড় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। ১৩. বাল্টিক সাগরের মাঝে একটি সাদা বালুর দারুণ বিচ রয়েছে রুগেনে। জার্মান রেলপথ ব্যবস্থাটি সুপ্রতিষ্ঠিত এবং নির্ভরযোগ্য এবং আপনি ট্রেনে করে জার্মানির প্রায় প্রতিটি শহরে পৌঁছতে পারবেন; আপনার উইন্ডোতে জার্মান ল্যান্ডস্কেপ স্ট্রিমটি দেখার খুব ভ্রমণের একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং আরামদায়ক উপায় জার্মানে ভ্রমণকারী বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক দর্শক ফ্র্যাঙ্কফুর্টের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে জার্মান দর্শনে আসেন।
বিমানের মাধ্যমে ভ্রমণ আসলে জার্মানির মধ্য দিয়ে যাওয়া মোটামুটি সুবিধার বাহিরে কারণ অন্যান্য বিকল্পগুলির তুলনায় এটি প্রায়শই বেশি ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। এছাড়াও, অনেকগুলি ফ্লাইট অন্য দেশে থামায়, তাছাড়া বিভিন্ন অসুবিধা এবং কার্যক্রমে সময় এবং অন্যান্য দিকে থেকে বিমান যাত্রা অনেকটা সময় খরচ করে ফেলে।
আরো পড়ুনঃ এডেনয়েড-নাকের পেছনে টনসিল
তো এক্ষেত্রে একজন পর্যটকের জন্য এটি অনেকটা সমস্যার বিষয় বটে। তো সবশেষে বলাই যায় যে একজন ভ্রমণ পিপাসুর জন্য জার্মানীর স্থানগুলো তার পিপাসা মিটাতে সক্ষম। আর ইতোমধ্যে জার্মানীতে সারা বছর ধরেই পর্যটকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
তথ্যঃ গুগল