ভ্রমণের তৃপ্তি মিটাবে ইন্দোনেশিয়ার বালি
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- এপ্রিল ২৪, ২০২১
বিশ্ব ভ্রমণের কথা বললে আর ভ্রমণের তৃপ্তি মিটাবে এমন একটি জায়গা হলো ইন্দোনেশিয়ার বালি। এ জায়গায় মানুষ তার প্রিয়জনকে নিয়ে তাদের সবচেয়ে সুখময় একটি ভ্রমণ তৈরী করতে পারে। বালি দ্বীপ সবচেয়ে সুন্দর একটি জায়গা ভ্রমণের জন্য। একটা জায়গায় এতো কিছু দেখার আছে যা আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। হাতে সময় না নিয়ে গেলে আফসোস করতে হবে। বালি হলো ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপ এলাকা ও প্রদেশ।
বালি ও তার আশেপাশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপমালা নুসা পেনিদা, নুসা লেমবনগান ও নুসা সেনিনগান নিয়ে প্রদেশ গঠিত হয়েছে। এর রাজধানী দেনপাসার দ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। এই সবগুলো জায়গা ই সৌন্দর্যে ঘেরা এবং সবগুলাই জায়গাই এতটা মুগ্ধকর যে কোনটা দেখে কোনটা দেখবো এমন একটি অবস্থা হয়ে যায়। বালি ভ্রমণের ব্যবস্থাও অনেক সহজ হওয়ায় ভ্রমণটি হয়ে উঠে আরো সুন্দর। বালিতে যাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা যেটা তা হলো ইন্দোনেশিয়া অন এরাইভাল ভিসা হওয়ায় ভিসা নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয় না। তাই অন্যান্য দেশের মতো দৌড়ের উপর থাকতে হয়না।
আরো পড়ুনঃ পাখির বাসার নকশা কি কেউ কখনো বুঝতে সক্ষম হয়েছে?
শুধু প্লেনের টিকেট থাকলেই চলে। মালিন্দো, থাই এয়ার, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স , মালেশিয়ান এয়ারের বিমানে আপনি বালি যেতে পারেন। টিকেটের দাম ২২০০০-৪০০০০ টাকার মধ্যে উঠানামা করে। বলা চলে সবদিক থেকে বালি ভ্রমণ হতে পারে একটি আদর্শ ভ্রমণ। তবে সব গুলো এয়েরের থেকে মালিন্দো এক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হবে। তাই ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই কথাটি খেয়াল রাখবেন। যাত্রার যত আগে টিকেট কাটা সম্ভব হবে তত সাশ্রয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কুয়ালামপুরে ১ ঘন্টার ট্রানজিটসহ বালি পৌছাতে সময় লাগে ৬ ঘন্টা।
বাংলাদেশের সাথে সময়ের দিক থেকে ২ ঘন্টার ব্যবধান ইন্দোনেশিয়ার। ভ্রমণ সময়ের বিভিন্ন প্রস্তুতির কথা বলতে গেলে ভ্রমণ সময়ে ইন্দোনেশিয়ার ইমিগ্রেশনে যে জিনিসগুলো দেখতে চাইবে তা হলো আপনি কতদিনের জন্য ওখানে যাচ্ছেন, যে হোটেলে থাকবেন তার বুকিং কনফার্মেশন পেপার, পাসপোর্ট ডলার এন্ডর্স করা কিনা। সব দেখে আপনার পাসপোর্টে এন্ট্রি ভিসা দিয়ে দিবে ৩০ দিনের জন্য। এই সবগুলো ঠিকঠাক থাকা মানে আর কোনো চিন্তার বিষয় নেই। এবার শুধু আকাশে উড়ার পালা। বালিতে বছরের যে কোন সময় যাওয়া যায়৷ সবসময়ই এর প্রকৃতি থাকে মনোমুগ্ধকর। বালিতে দুইটা সিজন বলা চলে গ্রীষ্ম আর বর্ষা।
আরো পড়ুনঃ যোনি মুখে চুলকায়,এবং ছোট ছোট ঘা হয়েছে, কি করতে হবে?
এপ্রিল থেকে অক্টোবর হল গ্রীষ্ম বা শুকনা মৌসুম। আর নভেম্বর থেকে মার্চ বর্ষা বা ভেজা মৌসুম, এসময় বৃষ্টি হয় মূলত। তখন কিছু কিছু জায়গার দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যায় স্বর্গীয় দৃশ্য দেখার মতো। বালিতে দর্শনীয় স্থানসমুহের মধ্যে যেতে পারেন নুসা দুয়া, উলুওয়াতু, পাদাম পাদাম বিচ, কিন্তামানি মাউন্ট বাটুর, উবুদ , তানালক মন্দির, মাংকি ফরেস্ট । উলুওয়াতু মন্দির, পাদাম পাদাম বিচ গেলে সানসেট টা দেখতে বেশ সুন্দর হয়, পর্যটকরা এই দৃশ্য বেশ আনন্দের সাথে উপভোগ করে। তবে হে, বালিতে যদি ঘুরতে চান তবে ড্রাই সিজনে ঘুরতে আসা বেষ্ট হবে।
এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মাঝে। জুন আর সেপ্টেম্বর দুমাস ভ্রমণ বাদ দিলে আপনি সবকিছু একটু কম দামে পাবেন আর বেশি বার্গেইন করার সুযোগ পাবেন। তাছাড়া হোটেল বুকিং নিয়ে ভাবতে হবে না দিনে দিনে সব জায়গাতে হোটেল পাবেন। এছাড়া ডিসেম্বর মাস ও বাদ দেয়া উচিৎ, ক্রিসমাস আর নিউ-ইয়ারের জন্য এ সময় টা বেশ চাপ থাকে। তবে বেস্ট মাস হল জুন।
আরো পড়ুনঃ সন্তানের পাঁচটি অভ্যাস ছোটবেলা থেকে গড়ে তুলুন
যদি ট্রিপ ছোট হয় তবে জুনের শেষ সপ্তাহে যাওয়া বেটার। এই ছোটখাটো বিষয়গুলো মাথায় রেখে বালি ভ্রমণ হতে পারে সবচেয়ে সুন্দর এবং সহজ একটি বিদেশ ভ্রমণ।
তথ্যঃ গুগল