ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- এপ্রিল ২৮, ২০২১
জীবনে প্রকৃতি অথবা বিশ্বের কিছু সেরার সেরা স্থান ভ্রমণের কথা উঠলে জিম্বাবুয়ের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত তার মধ্যে একটি। ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত মধ্য-দক্ষিণ আফ্রিকায় জিম্বাবুয়েতে অবস্থিত। স্থানীয় এবং ইতিহাসের তথ্য ধরে জানা যায় জিম্বাবুয়ে উত্তর-পশ্চিমাংশে ও জাম্বিয়ার দক্ষিণ-পূর্বদিকে অবস্থিত যৌথ নদী জাম্বেজি থেকে এ জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়েছে। জলপ্রপাতটি উচ্চতায় ১০৮.৩ মিটার এবং প্রস্থে ১,৭০৩ মিটার।
এই ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতটি থেকে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩৩,০০০ ঘনফুট জল পতিত হয়। দেখতে দেখতে আোখ জুড়িয়ে যায় এ জলপ্রপাতকে। তবে নিম্ন নদী প্রবাহকালীন সময়ে পূর্বদিকের অংশ প্রায়শঃই শুষ্ক থাকে।
আরো পড়ুনঃ বিচ্ছিরি পেটের মেদ কমানোর ৬টি সিক্রেট ডায়েট
নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সাথে তুলনা করলে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত প্রায় দ্বিগুণ প্রশস্ত ও দ্বিগুণ গভীর।আর এরকম অপরুপ জলপ্রপাত দেখতে আশেপাশের দেশ ও এলাকা থেকে অনেক পর্যটকরা আসে। ইউনেস্কো ১৯৮৯ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে জলপ্রপাতটিকে উভয় নামেই তালিকাভূক্ত করেছে।জলপ্রপাতের উভয় অংশকে সংযুক্ত করতে ভিক্টোরিয়া ফলস সেঁতু নির্মাণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রেলওয়ে, মোটরগাড়ী চলাচল করে।
বর্তমানে এটি বহিঃবিশ্বের পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে। জিম্বাবুয়ের ভিক্টোরিয়া ফলস ন্যাশনাল পার্ক এবং জাম্বিয়ার মোজি-ওয়া-তুনিয়া ন্যাশনাল পার্ক ব্যাপক এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। আশেপাশের বনে অ্যান্টিলোপ, হাতি, জিরাফ, জেব্রা, সিংহ, চিতা ইত্যাদি প্রাণীর বসবাস। পাহাড়ের চূড়ায় বাজপাখি, ঈগল আবাস গড়েছে। এইসকল নিদর্শন দেখতে প্রায়ই জিম্বাবুয়েতে দেশের বাহির থেকেও পর্যটকরা ছুটে আসে। আর এসকল স্থানগুলোর জন্য সারা বিশ্বেই অনেক সুনাম ছড়িয়েছে জিম্বাবুয়ের।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা ছোলা খাওয়ার পর যে দু`টো জিনিস কখনোই খাবেন না!
জলপ্রপাতের নামকরণ নিয়ে জানতে গেলে পাওয়া যায় যে, ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী রাণী ভিক্টোরিয়াকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ১৬ নভেম্বর, ১৮৫৫ তারিখে স্কটিশ মিশনারি ও ব্রিটিশ অভিযাত্রী ডেভিড লিভিংস্টোন নিজ নামে পরিচিত লিভিংস্টোন দ্বীপপুঞ্জ থেকে জলপ্রপাতটি দেখে এর নামকরণ করেন। আর বর্তমানে সারাবিশ্বে এ নামেই পরিচিতি লাভ করেছে অপরুপ সৌন্দর্যের অধিকারী জলপ্রপাতটি।
তথ্যঃ গুগল