`উত্তরের ভেনিস` বলা হয় ব্রাজিলের ব্রুগেসকে
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- এপ্রিল ২৮, ২০২১
ব্রাজিলের সবথেকে শিল্পসমৃদ্ধ শহর হলো ব্রুগেস। ব্রাজিলের এই শহরটিকে বলা হয় ‘উত্তরের ভেনিস’। শিল্পসমৃদ্ধ এই শহরটিতে বেশ কয়েকটি সিনেমার শুটিং হয়েছে। চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত আছে ব্রুগেসের সৌন্দর্য আর এসকল চলচ্চিত্র গুলো দেখলেই ব্রুগেসের সৌন্দর্য বুঝা যায় খুব সহজে। এই শহরের মধ্যযুগের স্থাপত্য এবং আকাশছোঁয়া ছাদের বাড়িগুলো ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে।
ব্রুগেস শহরের বিভিন্ন মোড়ে এবং জায়গায় জায়গায় রয়েছে বিয়ার এবং হরেক রকমের চকোলেটের দোকান । এত এত সৌন্দর্য এবং স্থাপত্য ইতিহাস সবকিছু নিয়েই পরিচিত হয়েছে ব্রাজিলের ছোট একটি শহর ব্রুগেস। হ্যা শহরটি আসলেই ছোট একটি শহর। ব্রুগেস শহরের সব ঐতিহাসিক স্থাপনা, চকোলেট ও বিয়ারের দোকান, বুটিকের দোকান এবং রেস্তোরাঁগুলো ঘুরে ঘুরে শেষ করতে একদিন ই যথেস্ট।
আরো পড়ুনঃ নিঃশ্বাস পরিষ্কার রাখে যে পাঁচটি খাবার
ব্রুগেস সম্পূর্ণ শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন বেলুনে উড়ে। প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় দুইবেলা বেলুনে চড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। অনেকেই থাকে আকাশভীতি, তাদের জন্য রয়েছে নৌকায় করে ব্রুগেস ঘুরতে পারার সুযোগ । পুরো শহরেই রয়েছে খালপথ। একটি নৌকায় চড়ে হাওয়া লাগিয়ে লাগিয়ে ঘুরা যায় ব্রুগেসের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। পাগল চকোলেটপ্রেমীদের কাছে ব্রুগেস হচ্ছে বারবার ঘুরতে যাওয়ার মতো জায়গা। শুধুমাত্র এই ছোট্ট ব্রুগেসে রয়েছে ৫০টিরও বেশি চকোলেটের দোকান। চকোলেট শীর্ষে মাস্টার শক-ও-ল্যাটিয়ার ও ডমিনিক পারসুন্স চকোলেট শপের মতো দুটি বিখ্যাত চকোলেটের দোকান রয়েছে ছোট শহরটিতে।
ব্রুগেস শহরে দুটি অদ্ভুত ধরনের সুন্দর জাদুঘর রয়েছে। পর্যটকদের জন্য এ দুটি জাদুঘর হতে পারে তীর্থস্থান। একটি হচ্ছে ‘ফ্রাইট মিউজিয়াম’। এই জাদুঘরে শুধু ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের সংগ্রহ রয়েছে। চকোলেটের জন্য ‘চকো স্টোরি’ হচ্ছে চকোলেটের জাদুঘর। সকল বয়সীদের প্রিয় চকোলেটের যে চার হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস রয়েছে সেটা নিজ চোখে দেখতে ‘চকো স্টোরি’ জাদুঘরে যেতে হবে প্রত্যেককে।
আরো পড়ুনঃ ৩০-এরপরে বাচ্চা নিলে আপনি যে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখী হবেন!
শহরটি ছোট হলেও এমন ছোট খাটো অনেক আরো ইতিহাস বা অজানা তথ্য রয়েছে৷ তাছাড়া ঘুরে দেখার জন্য আরো দর্শনীয় অনেক সুন্দর মনোরম দৃশ্য রয়েছে ব্রুগেসে।
তথ্যঃ গুগল।