পৃথিবীর সাত আশ্চর্য সম্পর্কে বিস্তারিত
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- আগস্ট ২৩, ২০২১
পৃথিবীর সাত আশ্চর্য বলতে একটি বিষয় রয়েছে। যা সম্পর্কে অনেকেই অবগত রয়েছে আবার অনেকেই এটি সম্পর্কে জানেন না। আমরা পুরো পৃথিবীতে দেখলে আল্লাহর অনেক সৃষ্টি দেখবো যেগুলো আসলেই আশ্চর্যজনক। আর এই সকল নিদর্শন থেকেই বেছে বেছে এই সাতটি স্থান বের করা হয়েছে, যেগুলোকে বর্তমানে পৃথিবীর সাত আশ্চর্য বলা হয়। পৃথিবীর নানান প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা এমন ২০০টির মতো স্থাপনা রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ শিশুর জন্য মায়ের দুধের উপকারিতা
এই ২০০টি স্থাপনার তালিকা থেকে পৃথিবীর নতুন সাতটি আশ্চর্য বেছে নেওয়া হয়। এ কাজটি করেছে সুইস সংস্থা নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন। ২০০ টি স্থাপনা থেকে মাত্র ৭টি স্থাপনা নির্বাচন করার কাজ কষ্টকর হলেও এই সাত আশ্চর্য এখন সারা বিশ্বের কাছে একটি মূল্যবান স্বপ্ন। এসব স্থাপনা দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের আগ্রহের কমতি নেই।
চলুন জেনে আসা যাক পৃথিবীর সাত আশ্চর্য হিসেবে বিখ্যাত এসব স্থাপনা নির্মাণের পেছনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। প্রায় প্রত্যেকটি আশ্চর্য স্থাপনার পিছনে রয়েছে একেকটি আকর্ষনীয় ইতিহাস। এই সাত আশ্চর্যের মধ্যে প্রথমেই কথা বলছি ১৯১১ সালে আবিষ্কৃত মাচু পিচুর কথা। এই নিদর্শনটি আবিষ্কার করেন মার্কিন প্রত্নতত্ত্ববিদ হিরাম বিংহ্যাম। এটি মূলত ইনকা সভ্যতার একটি নিদর্শন।
মাচু পিচু মূলত ধ্বংসাবশেষ রুপেই আবিষ্কৃত হয়েছিল। আর নতুন অবস্থায় আবিষ্কার হবার পা স্থানটির নাম দেয়া হয় ইনকাদের হারানো শহর। এই শহরটি ইতোমধ্যেই সারা বিশ্বের কাছে একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে, তাই বিভিন্ন সময় এই স্থানে পর্যটকদের উপস্থিতি দেখা যায়। দক্ষিণ আমেরিকার জন্য অন্যতম প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক কেন্দ্র ও পেরুর সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান এটাই। মাচু পিচুর আশপাশের ৩২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ১৯৮১ সালে পেরুর সংরক্ষিত ঐতিহাসিক এলাকা ঘোষণা করা হয়।
আরো পড়ুনঃ টমেটো বেশি খেলে, সমস্যা?
পেরুর উরুবাম্বা উপত্যকার ওপর সুরক্ষিত পর্বতচূড়ায় এটি অবস্থিত। ঐ স্থানের বসবাসরত মানুষদের জন্যও একটি আদর্শ ভ্রমণ স্থান হয়ে উঠেছে এই মাচু পিচু। মূলত ১৪৫০ সালে ইনকা সভ্যতার স্বর্ণযুগে মাচু পিচু নির্মিত হয়। ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য এই স্থান ছিল ইনকা সম্রাট পাচাকুতিকের অবকাশযাপন কেন্দ্র। তবে শহরের সব অধিবাসী গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে ১০০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এটি পরিত্যক্ত হয়।
তখনকার সময়ে এই স্থানটি এতটা বিখ্যাত অথবা পরিচিত ছিল না। তবে সময়ের সাথে সাথে এই স্থানটি অন্যতম এক আকর্ষণ হয়ে উঠে সকলের কাছে। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে মাচু পিচুর উচ্চতা ৭ হাজার ৮৭৫ ফুট। ধ্রুপদী বাস্তুকলার নিদর্শন ও ইনকা সভ্যতার অনন্য স্বাক্ষর মাচু পিচুর ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ চালানো নিষিদ্ধ। মাচু পিচুকে ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ ঘোষণা করে।
এর ফলে মাচু পিচু আরও একধাপ এগিয়ে গেলো তার গ্রহণযোগ্যতা এবং পরিচিতির দিক থেকে। মাচু পিচু তার ইতিহাস এবং নিদর্শন দিয়ে আসলেই বিশ্বের এক অন্যরকম আশ্চর্য।
আরো পড়ুনঃ ঢেঁড়স আপনাকে দিবে সুস্থ জীবন! কিন্তু কিভাবে?
তথ্য: গুগল