বিশ্বের কয়েকটি নামকরা টাওয়ার!
- রেজবুল ইসলাম
- এপ্রিল ৩০, ২০১৮
পৃথিবীতে অনেক উঁচু উঁচু নির্মাণ রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটা সুপরিচিত। যুগের পর যুগ ধরে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের মাথার উঁপরে। তার মধ্যে কয়েকটি নিয়ে আজকের লেখা।
১. EIFFEL TOWER (আইফেল টাওয়ার)
লৌহনির্মিত আইফেল টাওয়ার প্যারিস এর চ্যাম্প ডি মার্স এ অবস্থিত। প্রতিবছর ঝাকে ঝাকে লোক উপস্থিত হয় মানবসৃষ্ট এই অসাধারণ স্থাপত্যশিল্প দেখার জন্যে। পৃথিবীতে সর্বাধিক দর্শনপ্রাপ্ত টাওয়ার এটি। ১৮৮৭ থেকে ১৮৮৯ পর্যন্ত প্রায় দুই বছর যাবৎ তৈরী করা হয় আইফেল টাওয়ার। এটি তৈরি করা হয় মূলত ১৮৮৯ এ ওয়ার্ল্ড’স ফেয়ার এর জন্যে, তাছাড়া ১৮৮৯ সালটি ছিলো ফরাসি বিপ্লবের শতবর্ষপূর্তি। এটা তৈরির আরেকটা কারণ ছিলো বিশ্ববাসীকে দেখানো গত একশো বছরে ফ্রান্স বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এ কতটা অগ্রগামী হয়েছে। আইফেল টাওয়ার যিনি তৈরি করেন তিনি স্ট্যাচু অব লিবার্টি এর অভ্যন্তরীণ ফ্রেইম তোইরি করেন। ইনি হচ্ছেন অ্যালেক্সান্ডার গুস্তাভে আইফেল। তিনি আইফেল টাওয়ার এর প্রধাণ স্থপতি এবং ঠিকাদার।
২. LEANING TOWER OF PISA
ইতালির পিসা শহরের কথা বললেই আমাদের মানস পটে যে ছবিটি ভেসে আসতো, তা ছিল ‘লিনিং টাওয়ার অফ পিসা’।
৩. BIG BEN (বিগ বেন)
বিগ বেন (ইংরেজি: Big Ben) লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এলাকার সংসদ ভবনের উত্তরাংশের ক্লক টাওয়ারে অবস্থিত সুবিশাল ঘন্টার ডাক নাম যা সময়ে সময়ে বেজে উঠে। আনুষ্ঠানিকভাবে টাওয়ারটি ক্লক টাওয়ার কিংবা প্যালেস অব ওয়েস্টমিনস্টার নামে পরিচিত। লন্ডনের নাগরিকদের অধিকাংশই টাওয়ারটিকে বিগ বেন নামে শখ করে ডেকে থাকেন। কেননা, ঘন্টাটি খুবই বৃহৎ আকৃতির। সর্বসাকুল্যে এর ওজন প্রায় ১৩ টন। বর্তমান বিগ বেন ঘন্টাটি দ্বিতীয় বারের মতো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ১৮৫৬ সালে প্রথম ঘন্টাটি বিনষ্ট করা হয়েছিল মূলতঃ ভুল হিসাব প্রদানের জন্যে।
৪. CN TOWER (সি এন টাওয়ার)
সি এন টাওয়ার পরিচিত খুব পরিচিত একটি নির্মাণ। সি.এন. টাওয়ার হচ্ছে একটি অবজারভেশন টাওয়ার যার উচ্চতা ১,৮১৫ ফুট। ১৯৯৫ সালে এই টাওয়ার কে আমেরিকান সোসাইটি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারস পৃথিবীর "আধুনিক সপ্তম আশ্চর্য" এর একটি হিসাবে ঘোষনা করে। এটির নির্মান কাজ শেষ হয় ১৯৭৬ সালের জুন মাসে। এর নির্মানে মোট সময় লেগেছিল ৪০ মাস এবং খরচ হয়েছিল তখনকার সময় অনু্যায়ী ৬৩ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার। প্রতি বছর প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ এ টাওয়ার এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসে।
আর/এস