চাঁদের কলঙ্কের অজানা তথ্য
- কামরুন নাহার স্মৃতি
- জুন ৮, ২০১৯
খালি চোখে চাঁদকে একজনের হাসি হাসি গোলগাল মুখ বলে মনে হয়। আবার কেউ কেউ দেখে যে চাঁদের মধ্যে বসে বুড়ি-মা চড়কা কাটছে। কেউ আবার বলে বুড়ি নয়, ওটা একটা খরগোশ (“শশ” মানে খরগোশ, তাই অনেকের ধারনা এখান থেকেই চাঁদের নাম এসেছে শশধর, শশাঙ্ক)। কিন্তু যা-ই মনে হোক, ওগুলো চাঁদের গায়ে কালো কালো দাগ, আর কিছু নয়। সূর্যের মতোই চাঁদেও কলঙ্ক আছে। সূর্যের কলঙ্কের বিষয়ে খুব বেশিকিছু জানতে না পারলেও, চাঁদের এগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি। ওগুলো হচ্ছে চাঁদের শুকনো সমুদ্র। সৃষ্টির প্রথম দিকে হয়তো সেই সমুদ্র জলে ভরা ছিল। কিন্তু এখন তা শুষ্ক। শুধু সমুদ্র নয়, সারা চাঁদটাই শুষ্ক, সম্পূর্ণ জলহীন। কোথাও জলের বাষ্পটুকুও নেই। তবু মানুষ এদের ১৪টা নাম রেখেছে – মেঘসমুদ্র,বৃষ্টিসাগর,শান্তিসাগর,মহাসাগর ইত্যাদি। এরা চাঁদের দেখা দিকটার তিন ভাগের এক ভাগ জুড়ে আছে। নীচু বলে এখান থেকে আলো ঠিকরে আমাদের কাছে আসে না, তাই এগুলো পৃথিবী থেকে কালো দাগের মতো দেখায়। চাঁদের উল্টো পিঠের একটি প্রকান্ড খাদ, পৃথিবী থেকে কালো দাগের মতো দেখায়, বিজ্ঞানীরা চাঁদের উল্টো পিঠকে চাঁদের কলঙ্ক বলে অভিহিত করেছেন।
কেএস/