পোষা বিড়ালের যত্ন-আত্তি

  • রোজী আরেফিন
  • জুলাই ৬, ২০১৯

নতুন যারা একটা পোষা বিড়ালের মালিক হবার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন,তারা কি বিড়ালের যত্ন আত্বি সম্পর্কে কোন খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছেন? আপনাদের সুবিধার্থে চলুন জেনে নিই পোষা বিড়ালের যত্নে সামান্য কিছু কথা।

১.বিড়াল কেনার আগেই ঠিক করুন বিড়ালের থাকার জায়গা,বিছানাপত্র ইত্যাদি।

২.বিড়াল কিনতে যাবার আগে পরিবারের অন্যান্য সদস্যাদের মতামত জানাটাও অত্যন্ত জরুরী যেহেতু বিড়ালটা বাসায় আনার পরে শুধুমাত্র আপনার সাথেই থাকবেনা বরংচ পরিবারের প্রতিটা সদস্যের সাথেই কমবেশি তাকে থাকতে হবে।তাই পরিবারের সবার মতামত নিয়ে নিন।

৩.বিড়াল কিনে আনার পরে প্রথম কাজ হচ্ছে তাকে ভ্যাক্সিনেশন করা।অবশ্য যদি যেখান থেকে কিনে এনেছেন সেখানেই এর ভ্যাক্সিনেশন হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে আর নতুন করে এর দরকার নেই।

৪.বিড়াল তো নিয়ে আসলেন বাসায়,এবার তাকে খাওয়াবেন কি? আজকাল বিভিন্ন সুপার শপে বিড়ালের জন্য বিভিন্ন প্রসেসড ফুড পাওয়া যায়।চাইলে সেগুলি কিনে আনতে পারেন অথবা নিজে নিজেই ঘরে ও বিড়ালের খাবার বানাতে পারেন।সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন বিড়ালকে কখনো যেন কাঁচা মাছ,মাংস দুধ ইত্যাদি না দেওয়া হয়।কাঁচা খাবারে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকে যা বিড়ালের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারন হতে পারে।তাই আপনার বিড়ালের খাবার রান্না করুন হালকা লবন দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে এবং বাড়তি কোন মসলা না দিয়ে।

৫.অনেক বিড়াল আছে একদম পানি খেতে চায় না,সেসব বিড়ালকে অবশ্যই ওয়েট প্রসেসড ফুড খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন পাশাপাশি পরিস্কার পানি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে খাওয়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।

৬.কিছু কিছু খাবার আছে যা খেলে বিড়ালের বিষক্রিয়া হবার চান্স থাকে যেমন,চকলেট,আঙুর,এলকোহল, রসুন,পেয়াজ,কাঁচা ডিম,এভোকেডো ইত্যাদি।এছাড়া বারান্দায় থাকা টবের লিলি জাতীয় গাছ বিড়ালের কিডনি বিকল করে দেয়ার যথেষ্ট ক্ষমতা রাখে।তাই এসব জিনিস যতটা সম্ভব বিড়ালের নাগালের বাইরে রাখার চেষ্টা করুন।

৭.ঘরে পোঁকামাকড় মারার ওষুধ অথবা বাগানে ফার্টিলাইজার বা ইনসেক্টিসাইড ইত্যাদি বিড়ালের উপস্থিতিতে সাবধানে ডিল করবেন।

৮.আগে থেকেই যদি বিড়ালের পটি করার অভ্যাস না থাকে,তাহলে যতদ্রুত সম্ভব এ অভ্যাসটি করিয়ে নিবেন।

৯.সবসময় অতিরিক্ত খাবার খাইয়ে পোষা বিড়ালটিকে একেবারে গুল্টুমুল্টু করে ফেলবেন না।মনে রাখবেন অতিরিক্ত ফ্যাট আপনার বিড়ালের আয়ু সহসাই কমিয়ে ফেলবে।

১০.দু তিন দিন পরপর বিড়ালকে গোছল করাবেন,অবশ্যই প্রতিবার গোছলের সময় বিড়ালের সম্পুর্ন শরীরে ভালো করে শ্যাম্পু করে নিবেন।

১১.খেয়াল রাখবেন বিড়ালের নখের দিকে,বড় হয়ে গেলেই সুন্দর করে নেইলকাটার দিয়ে কেটে ফাইলিং করে দিবেন।

১২.পরিশেষে বাসায় বাচ্চাকাচ্চা থাকলে তাদের সাবধানে রাখবেন যেন কেউ বিড়ালের মুখে আঙুল বা হাত না দেয়।আর বাচ্চাদেরকে ও শেখাবেন প্রতিবার বিড়াল অথবা বিড়ালের জিনিস ধরার পরে যেন ভালো করে সাবান দিয়ে দুহাত ঘসে ঘসে পরিস্কার করে ধুয়ে নেয়। বিড়াল যদিও আমাদের মত কথা বলতে পারেনা কিন্তু বিড়ালের ও এক আশ্চর্যজনক ক্ষমতা আছে মানুষের আদর বোঝার। তাই যতটুকু পারেন,বিড়ালের সাথে দুষ্টুমি করবেন,খেলা করবেন।তাহলে আপনার সময় ও ভালো কাটবে।

আরেকটা কথা,বিড়াল কেনার সাথে সাথেই একজন ভেটেরেনারী ডাক্তারের সাথে কনসাল্ট করে আপনার বিড়ালের খাবার পরিমাপ এবং খাবার টাইমিং ইত্যাদি বিষয়ে অবশ্যই ফিক্স করে নেবেন।

ভালো থাকুন,ভালো রাখুন।

ধন্যবাদ।

কেএস/

 

 

 

 

Leave a Comment